দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এবং কলেজ গেইটে তালা ঝুলিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ এনে শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, একাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল গত ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। কিন্তু তাতে লেখাপড়ায় ভালো বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। আবার পিছিয়ে থাকা অনেককেই পাস করানো হয়েছে। উপর মহলের সুপারিশেও অযোগ্যদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে মার্কশিট দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ মো. শামসুল ইসলামের বিরোদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ বেশিরভাগ সময় কলেজের বাইরে সময় কাটান। অনেক সময় লম্ব ছুটি নিয়ে না নিয়েও দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ান। গত এক সপ্তাহ থেকে তিনি কলেজে অনুপস্থিত। কিন্তু এ অবস্থায় কলেজে কোনো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব দেয়া হয় না। এতে করে যে-কোনো পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খেতে হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
এ ব্যাপারে কলেজের শিক্ষকরা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষকে ছুটি একমাত্র গভর্ণিং বডি দিতে পারে। শুনেছি তিনি দেশের বাইরে গেছেন কিন্তু কোন দেশে গেছেন এবং কভে আসবেন তা কারো জানা নেই। তার ছুটির বিষয়েও তিনি কলেজের কাউকে অবগতও করে যাননি। তাই এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না কেউ।
পরে বেলা ২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খাইরুল ফজলসহ পুলিশ কর্মকর্তা, কলেজের শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান, শাহানা বেগম, ছাত্রলীগ নেতা শাহ ওলিদুর রহমান, ওমর ফারুক ফরহাদ, শাহীন আলী, নিজাম উদ্দিন, আতাউর রহমান সানি এবং অন্যদের সহযোগীতায় আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আসার পর আলোচনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন যোগ্য শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়া হবে। প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ২৮ ডিসেম্বরের পরও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানো হবে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ মোস্তফা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তিনদিনের অধিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকলে তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার কথা। বিজ্ঞপ্তি