ভারতকে ১০০ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন দেবে রাশিয়া

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতকে ১০০ বিলিয়ন ডোজের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ সরবরাহ করবে রাশিয়া। স্পুটনিকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও সরবরাহে সহযোগিতা করবে ভারতের অবস্থিত দুটি গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরিস লিমিটেড এই দুটি সংস্থার সদরই দফতর ভারতে অবস্থিত। বুধবারই রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এই তথ্য দিয়েছে।
রাশিয়ার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পেলেই আরডিআইএফ ডক্টর রেড্ডিকে ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে। হিউম্যান অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর প্ল্যাটফর্ম স্টাডিতে ভ্যাকসিনটি সুরক্ষিত প্রমাণিত হয়েছে। মহামারির জন্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
আরডিআইএফ জানিয়েছে, ভারতে সফল ট্রায়াল ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর ২০২০-র শেষের দিকে ভ্যাকসিন সরবরাহ হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য আরডিআইএফ ও ডক্টর রেড্ডির মধ্যে যে চুক্তি, তা দেশের ও সংস্থার ক্রমবর্ধমান সচেতনতাকে প্রতিফলিত করে। চলতি মাসের শুরুতেই নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভিকে পাল জানিয়েছিলেন, রাশিয়া সরকার স্পুটনিক ভ্যাকসিন উৎপাদনে ভারতীয় সংস্থার সাহায্য চেয়েছে। ভ্যাকসিনের ইতিহাসে রাশিয়ার সুনাম আছে বলেও জানিয়েছিলেন আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব।
এদিকে ভারতে আবারও ট্রায়াল শুরু করতে পারে অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন। সেরাম ইনস্টিটিউটকে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই। ব্রিটেনের স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়ার পর, ১১ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে ট্রায়াল স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল তারা।
শনিবারই ব্রিটিশ-সুইডিশ বায়োফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছিল, সেখানে মেডিসিন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে তারা। তারপরই ব্রিটেনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আবার চালু করা হয়েছে। ওই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
মঙ্গলবার তারা ব্রিটেনের ডেটা এন্ড সেফটি মনিটরিং বোর্ডের দেওয়া তথ্য জমা করে, পুনরায় ট্রায়াল চালু করার আবেদন জানিয়েছিল। কিছু শর্তের ভিত্তিতে ওই ট্রায়াল চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে ডিসিজিআই। স্ক্রিনিংয়ে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীর সম্মতিপত্রে আরও বেশি করে তথ্য দিতে হবে। কী কী ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা? বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলেও সেরাম ইন্সটিটিউটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে প্রোটোকল মেনে ডিসিজিআইকে বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর, স্বেচ্ছাসেবীদের ৭ দিনের পর্যবেক্ষণের তথ্য জমা করেছে পুনের ফার্মটি। তারা জানিয়েছে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও, তা মৃদু। নিজে থেকেই আবারও সুস্থ হয়ে উঠছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। তারপরই ফের অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই।