সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে তামাশা

67

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শুরুটাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে। অন্তর শোবিজ ও অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের দাবি ছিল, এটিই প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড 85531_f1বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। অথচ এ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে প্রথম হয় ২০০০ সালে। তখনকার বিজয়ী প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন মিস ইউনিভার্সেও।
মিথ্যা তথ্য দিয়েই থেমে থাকেনি মিস ওয়ার্ল্ডের এবারের আয়োজন। চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণার ক্ষেত্রে রীতিমতো হয়ে গেছে কেলেঙ্কারি। জান্নাতুল নাঈম নামে এক প্রতিযোগীকে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ।’ অথচ এখন জানা যাচ্ছে, বিচারকদের তালিকায় তার নামই ছিল না। বিচারকরা যাকে প্রথম নির্বাচিত করেছিলেন, আয়োজকরা তাকে দ্বিতীয় ঘোষণা করতে বাধ্য করেন উপস্থাপিকাকে। এমন মশকরায় রীতিমতো বিস্ময় তৈরি হয়েছে। ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক ছিলেন জুয়েল আইচ, শম্পা রেজা, বিবি রাসেল, চঞ্চল মাহমুদ, রুবাবা দৌলা ও সোনিয়া বশির কবির। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিনা চৌহান। কয়েকজন বিচারক গণমাধ্যমকে বলেন, এটা খুব অন্যায় হয়েছে। আমাদের সবার কাছে যে প্রথম হয়েছে, তাকে প্রথম করা হয়নি। যাকে প্রথম করা হয়েছে, সে আমাদের প্রথম তিনজনের তালিকায়ও ছিল না। যেহেতু এটা একটা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট, তাই আমরা এমন একজন প্রতিযোগীকে বাছাই করতে চেয়েছি, যে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারবে। আমরা একবাক্যে জেসিকা ইসলামকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচিত করি। শুক্রবার রাতে যা ঘটল, তা আমাদের জীবনে খুব খারাপ একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল। এত বড় একটা অন্যায় এভাবে হবে, ভাবতেও পারিনি। তারা বলেন, আয়োজকেরা যদি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, তাহলে তো বিচারক হিসেবে আমাদের রাখার প্রয়োজন ছিল না। আমাদের জন্য এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নাম ঘোষণার ওই মুহূর্তে এত মানুষের সামনে আমরা আয়োজকদের অপমান করতে চাইনি। এখন মনে হচ্ছে, তখন আমাদের এই কাজটি করা উচিত ছিল।