স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর শেখঘাট এলাকা থেকে অপহরণের একদিন পর এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ খাদিম থেকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। রবিবার বিকেল ৫ টার দিকে খাদিমপাড়া চা বাগান এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছাত্র আল-আমিন (১৬) নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকরপাড়ার ৩নং বাসার নুরুল ইসলাম টুটুলের পুত্র। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তাৎক্ষণিক আল আমিনের দুলাভাই ফয়সল আহমদকে আটক করেছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুল ওয়াহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ আল-আমিনের লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তার পিতার অভিযোগ- গত শনিবার আল আমিনকে তার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম টুটুলের দায়েরকৃত মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার থানার সিলাম টিকরপাড়ার মৃত লাল মিয়ার পুত্র ফয়সল আহমদ তার (টুটুল) মেয়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী। ফয়সল খুবই বাজে স্বভাবের লোক। আয়েশাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন ফয়সল। গত ২০/২৫ দিন ধরে আয়েশা পিতার বাড়িতে থাকায় ফয়সল তার (টুটুল) ছেলে মেয়েদের হত্যা ও অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিল। এজাহার থেকে আরো জানা যায়, গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে নুরুল ইসলাম টুটুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কৌশলে বেড়ানোর কথা বলে আল আমিনকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় ফয়সল। এর পর আল-আমিনকে সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার দুলাভাই (বোনের স্বামী)কে আটক করা হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জানান, গত শনিবার শেখঘাট এলাকা থেকে অপহৃত হন আল-আমিন। গতকাল রবিবার সকালে আল-আমিনের পিতা নুরুল ইসলাম টুটুল বাদী হয়ে হয়ে কতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে আল-আমিনের লাশ খাদিমপাড়া চা বাগান এলাকা থেকে উদ্ধার করে। আল-আমিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়াহাব (মিডিয়া) জানান, গতকাল রবিবার বিকেল ৫টার দিকে খাদিমপাড়া চা বাগান এলাকা থেকে আল আমিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আল আমিনের দুলাভাই ফয়সল আহমদকে আটক করা হয়। পরে আল আমিনের পিতার অপহরণ মামলায় (নং-৪১/২৪/১২/১৭) ফয়সলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।