সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধারণের জন্যই কামালগীতিকে লালন করতে হবে – এমপি শাহানা রব্বানী

41

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী এমপি বাংলাদেশের মরমী সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবাণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক নানকার আন্দোলনের বিপ্লবী নায়ক, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক এবং জাতির জনকের একাধিক সভামঞ্চে গণসঙ্গীত পরিবেশনকারী প্রতিভাবান বাউল শিল্পী কামাল পাশা কোন কিছু চাওয়া বা পাওয়ার জন্য সঙ্গীত চর্চা করেননি এটা সত্য। কিন্তু তার কোন উত্তরাধিকারী নেই বলে তিনি মূল্যায়ন পাবেন না এটা হতে পারে না। তাকে স্বীকৃতি দিলে মরমী সংস্কৃতির ভিত্তি মজবুত হওয়ার পাশাপাশি অন্য গীতিকাররাও গান রচনায় উৎসাহিত হবেন। আমি মনে করি বহমান সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধারণের জন্যই কামালগীতিকে লালন করতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে হলে বাউল শিল্পী ও তাদের সঙ্গীতকর্মকে যেকোন মূল্যে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে হবে। ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৩ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাছনরাজা মিলনায়তনে মরহুম বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এর ১১৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি শাহানা রব্বানী একথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম। বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এন.এম মাহমুদুর রসুলের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জরুল ইসলাম চৌধুরী পাভেল,প্রবীণ গীতিকার মক্রম আলী শাহ, কামাল পাশা স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, এনজিও পদক্ষেপ এর কোঅর্ডিনেটর মোঃ মজিবুল হক আকন্দ, সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ ও শ্রমিকলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কালা মিয়াসহ স্থানীয় সংস্কৃতানুরাগীরা। আলোচনা সভার পরে বাউল কামাল পাশার গান কামালগীতি পরিবেশন করেন বাউল সিরাজ উদ্দিন,বাউল তছকীর আলী, বাউল জয়নাল আবেদীন, বাউল শাহজাহান সিরাজ, বাউল যোবায়ের বখত সেবুল, বাউল কৃষ্ণ চন্দ, বাউল নিউ শফিকুন নুর, বাউল আমজাদ পাশা, বাউল রুহেল মিয়া, বাউল ফারুক আহমদ, তানজিনা বেগম, তারা মিয়া মাস্টার, ডা: বায়েজিদ হোসাইন, বাউল আব্দুল কাইয়্যুম, ক্বারী আমিরুল ইসলাম, আমির হোসেন ও শিশুশিল্পী মাফরোজা সিদ্দিকা বুশরাসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।