স্টাফ রিপোর্টার :
অবশেষে মশার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নামছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ৪টি টিম নিয়ে শুরু হচ্ছে তাদের এই মশক নিধন অভিযান। তবে আপাতত সীমিত পরিসরে এই মশা নিধন অভিযান চলবে। চলতি মাসের শেষের দিকে পুরো নগরীতে শুরু হবে এই অভিযান।
শীত মৌসুমের শুরুতেই বেড়ে যায় মশার উৎপাত। এবারও শীত আসতে না আসতেই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দারা। নগরীর প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় মশার তীব্র উৎপাতে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মশার উৎপাত বেড়ে যায় ভয়ানক আকারে।
নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা আতিকুজ্জামান আতিক বলেন, মশার জ্বালায় ঘরে থাকাই যেন দায়! কয়েল, স্প্রে দিয়েও মশার উৎপাত ঠেকানো যাচ্ছে না। এরকম অবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ছিল অসহায়। প্রয়োজনীয় পরিমাণ ওষুধ না থাকায় তারা মশা নিধন অভিযান শুরু করতে পারছিল না। পুরো নগরীতে মশার উৎপাত ঠেকাতে যেখানে প্রয়োজন ৩ হাজার লিটার ওষুধ,সেখানে করপোরেশনের কাছে ছিল মাত্র ৪০ লিটার।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দরপত্রের বাইরে জরুরী ভিত্তিতে ৪ লাখ টাকার ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত হয় গত সপ্তাহে। সেই ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এক হাজার লিটার ওষুধ কিনেছে সিটি করপোরেশন। এই ওষুধ নিয়ে মশা নিধন গতকাল মঙ্গলবার থেকে মশা নিধন অভিযান শুরু করছে সিটি করপোরেশন। সিসিক সূত্র আরো জানায়, পুরো নগরীতে ছিটানোর জন্য আরো প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এ ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া শেষে নগরীতে শুরু হবে ছিটানো।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, আমরা ৪ লাখ টাকায় এক হাজার লিটার ওষুধ কিনেছি। এই ওষুধ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মশা নিধন অভিযান শুরু হচ্ছে। চারটি টিম এ অভিযানে থাকবে। আপাতত নগরীর ছড়াগুলোতে এই ওষুধ ছিটানো হবে। তিনি আরো বলেন, আরো প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ওষুধ কেনার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। এ ওষুধ কেনা হয়ে গেলে এ মাসের শেষের দিকে পুরো নগরীতে মশা নিধন অভিযান শুরু হবে।