প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে বিএনপি নেতা ফারুক জেলে

30

স্টাফ রিপোর্টার :
জাল গ্রেফতারী পরোয়ানার মাধ্যমে নিজ দলের প্রতিপক্ষ নেতাকে ফাঁসাতে গিয়ে জেলে গেলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুক। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে গত রবিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুককে রবিবার রাতে কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি গতকাল সোমবার নিশ্চিত করেছেন কোর্ট লকাপের ইনচার্জ এএসআই শফিকুল ইসলাম।
এর আগে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজি আবদুল হান্নানের নির্দেশে ওয়ারেন্ট জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করে বিএনপির ওই নেতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আদালত। এরপর নগরীর পাঠানটুলার বাসা থেকে রবিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে সাথে সাথে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে কোর্ট ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দিন চৌধুরী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হন তিনি এ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ওসমানীনগর থানা পুলিশ বুরুঙ্গা গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র সাজ্জাদুর রহমানকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিআর ৭৯/১৫ নম্বর মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে রবিবার আদালতে পাঠান। এক পর্যায়ে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ও জাল ওয়ারেন্ট ইস্যুর বিষয়টি নজরে আসে। এরপর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজি আবদুল হান্নান ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরপরই ডিবি পুলিশের সহায়তা নিয়ে তিনি তদন্ত করে দেখতে পান আদালতের বিচারক ও পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে জাল ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুককে গ্রেফতার করে সাথে সাথে আদালতে হাজির করে।