স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে এবং কে-স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সিলেট জেলার ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে সিলেটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আবুল মাল আবদুল মুহিত কে-স্পোর্টস স্কুল ফুটবল লীগ-২০১৮। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ফুটবল লীগ। লীগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৭ নভেম্বর বেলা ২ টায় জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় সিলেট জেলা ক্রীড়া ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য বিজিত চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদ্দিন, সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মারিয়ান চৌধুরী মাম্মী, সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কার্যনিবাহী সদস্য নুরে আলম খোকন, সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দীপাল কুমার সিংহ প্রমুখ।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৮০-৯০ এর দশকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত স্কুল ফুটবল লীগ নিয়মিত অনুষ্ঠিত হতো এবং আমরাও স্কুল ফুটবল লীগ খেলে জেলা ফুটবল দলে জায়গা করে নিয়েছি। তখনকার সময়ে স্কুল ফুটবল লীগ ছিল জাঁকজমকপূর্ণ এবং এতে করে তৃণমূল পর্যায় থেকে অগণিত প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছে। যার দরুন তখনকার সময়ে সিলেট তথা বাংলাদেশের ফুটবল চিত্রও ছিল গৌরবোজ্জ্বল। সিলেটের এই গৌরবগাঁথা ফুটবল ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং তা অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাহি উদ্দিন সেলিম বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির পরিকল্পনা সফল করতে হলে স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম। এই প্রতিযোগিতা প্রতিটি জেলায় নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হলে সিলেটে যেমন অসংখ্য পরিমাণে প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে তথা ফুটবল অঙ্গনে গতির সঞ্চার হবে পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড়ের সুদীর্ঘ পাইপলাইন তৈরি হবে এবং একদিন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ফুটবল গৌরবোজ্জ্বল আসনে উন্নীত হবে বলে আমি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
এ সময় সেলিম আরো বলেন, আমি যতদিন সিলেট ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত আছি, ততদিন চেষ্টা করে যাবো উক্ত প্রতিযোগিতা নিয়মিতভাবে আয়োজন করার। পাশাপাশি আশা করবো, ভবিষ্যতেও যারা সিলেট ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্বে আসবেন, তাঁরাও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন। উক্ত প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে নবজাগরণের সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী। আমরা চাই, যুব সমাজ জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসবাদ হতে দূরে থাকুক এবং পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলায় মনোনিবেশ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিশীলিত হয়ে একজন সত্যিকারের মানুষ হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক।