তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সরকারী ছুটির দিনে বাৎসরিক পরীক্ষা দিল তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২ ডিসেম্বর শনিবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সারাদেশে স্কুল-কলেজ, অফিস -আদালত সরকারী ছুটির দিন ঘোষণা করায় শনিবারের পরীক্ষা পিছিয়েছে তাহিরপুরের সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সে দিক থেকে একটু ব্যতিক্রম তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ছুটির দিনেই শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা নিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন।
তার মতে পূর্বে নোটিশকৃত পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ায় তিনি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন।
তবে এলাকার ছাত্র অভিভাবকদের অভিযোগ যেখানে উপজেলার সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী-নিয়মনীতি অনুসরণ করছে সেখানে শুধুমাত্র তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন এই নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছে তা তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
শনিবার দুপুরে তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তন্ময় দাস এর সাথে, পরীক্ষার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায় শনিবার সাকলে সে বাংলা পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। পার্শ¦বর্তী অন্যান্য কোন বিদ্যালয়ে আজ কোন পরীক্ষা ছিল কিনা জানতে চাইলে সে জানায় তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তাকে জানিয়েছে শনিবার তাদের বন্ধ, রুটিন পরিবর্তন করা হয়েছে বিদ্যালয়ে কোন পরীক্ষা নেই।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তৃণা হাসান সে জানায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারী বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষক নোটিশ দিয়ে শনিবারের পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছেন।
বাগলী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র রায় বলেন, শনিবারের পরীক্ষা আমরা নোটিশ দিয়ে পিছিয়ে দিয়েছি।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম জেলা সভাপতি মোহাম্মদ মোদাচ্ছির আলম সুবল বললেন, শনিবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারী ছুটি। সরকারী ছুটির দিনে আমরা পরীক্ষা নিতে পারি না। তাই শনিবারে যে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তা আমরা পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর দিয়েছি।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমাকান্ত দেবনাথ একটু ক্ষিপ্তভাবে বললেন, খোলার দিনে বিদ্যালয়ে আসি না আবার বন্ধের দিনে পরীক্ষা। এই রকম সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেই ঠিক না।
তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হওয়ায় পরীক্ষা নিয়েছি। সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান, না তেমন কোন সমস্যা হবে না।