সোহানী

32

জালাল জয়

ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে একটা গল্প সাজাবার আগে
ছুটে আসি হেমন্তের কাছে, আসি ফিরে জ্যোৎ¯œা রাত্রীতে
পিঠা পায়েসের উৎসবে। শিশির ভেজা ঘাসের ওপরে
পা রাখতেই শিরশিরিয়ে কেঁপে ওঠা শরীরের লোমে
অনুভব করি কাঁপা কাঁপা ঢংয়ের চোখে সোহানীর
নরম ছোঁয়া। কুয়াশায় চাঁদরের মত জড়িয়ে- বুকে চেপে
বলতো কথা। যেন টুপটাপ বৃষ্টি ঝরছে তার চোখেমুখে।
মনে পড়ে শীতের শুরুতেই সোহানীর হাতে মিষ্টি পিঠা
আর পায়েসে, চাঁদের ঢেউয়ে হারিয়ে যাওয়া সময়গুলো।

আমি তারে ভালোবাসি নাই। সেটা কেমনে করি বিশ্বাস-
ভাবনার মহাকাশে তার চিত্র আঁকি, হৃদয়ের তুলিতে।
হেমন্ত এলে মনের ভেতর বসন্তের ছবি আঁকি।
আর নীরবে যে হত্যার ছায়া ঘুম ভাঙায় তাকে কাছে পেতে
বুক ভেঙে ঘাসেতে সমর্পণ করি।
এখন হেমন্ত আসে, কুয়াশা আসে,আর শিশির,
অপেক্ষা শুধু জ্যোৎ¯œায় ভাসানো রূপের মাধুরীতে ডুববার।

গল্পগুলো গল্প হয়ে ওঠেনি কখনো যখন নরম শীতের
স্পর্শে বিলের পাশ দিয়ে যেতে যেতে একটা গল্পের কাহিনী পেলাম,
তখন, মাছরাঙার মত উড়াল দিয়ে ঠিক ঠোঁঠ বরাবর এলো সোহানী,
আমি তারে ভালোবাসি নাই। কিন্তু সে আমায়…