হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গ্রাম্য মোড়লদের দাপট বটে ! শালিস বিচারের নামে কতিপয় গ্রাম্য মোড়লরা চলাচলের রাস্তা, দোকানপাট থেকে বাজারহাট করা নিষিদ্ধ করে এবং সিদ্ধান্তগুলো অমান্য করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামে।
জানা যায়, সাতাইহাল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আদর আলী মেয়ে খালেদা বেগম এর একই গ্রামের খালেদার ফুফাতো ভাই মালেশিয়া প্রবাসী তাজ উদ্দিনের সঙ্গে ৫ বছর পূর্বে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাজ উদ্দিন বিবাহ করে তার শশুর মৃত আদর মিয়া বাড়িতেই স্ত্রীকে ও তার মাকে রেখে পুনরায় মালেশিয়া চলে যায়। সম্প্রতি, তাজ উদ্দিনের স্ত্রী খালেদা বেগমের সাথে তার মায়ের সাথে সাংসারিক টুকটাক বিষয় নিয়ে বনিবনা হচ্ছিলনা। এরই জের খালেদা বেগমের কাছে ফোন করে তার স্বামী তাজ উদ্দিন গালিগালাজ করে এবং তার নিকট ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। পরে পারিবারিক বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে গত রবিবার সন্ধ্যায় সাতাইহাল পূর্বপাড়া রফিক মিয়ার দোকানের সামনে এক শালিস-বৈঠক বসে। উক্ত শালিস-বৈঠকে উপস্থিত মুরব্বিয়ান শাশুরির বাড়িতে খালেদাকে যেতে বললে খালেদা বেগম তার স্বামী তাজ উদ্দিন দেশে আসার পর শাশুরির বাড়িতে যাবে বলে জানায়। এতে বেঁকে বসেন শালিস-বৈঠকের মোড়লরা। পরে শালিসের মধ্যে থেকে জি¹র আলী প্রস্তাব করে বলেন যে যেহেতু শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে তাদেরকে এক ঘরে করে রাখা হউক। এ সময় শালিস-বৈঠকের সভাপতি আব্দুল্লাহ মিয়া তার রায়ে খালেদা বেগম ও তার মা-বোনকে সাতাইহাল পূর্বপাড়া গ্রামের চলাচলের রাস্তাসহ, দোকানপাট থেকে বাজারহাট করা নিষিদ্ধ করে এবং সিদ্ধান্তগুলো অমান্য করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন কতিপয় গ্রাম্য মোড়লরা। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিরুপায় হয়ে অবশেষে সোমবার খালেদা বেগমের মা ছমকতারা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা তাজিনা সারোয়ার বিষয়টি মিমাংসার করে দেওয়ার জন্য গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে দায়িত্ব প্রদান করেন।