কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের মইদাইল গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুরুদ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। লুট করে নেয়া হয়েছে নগদ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। এ ঘটনার কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কমলগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে মো. দুরুদ মিয়া স্থানীয় চাম্পা বেগমের নিকট থেকে জমি বন্ধকের ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মইদাইল গ্রামের হাজী তবারক মিয়ার রাইস মিলের সম্মুখে পৌঁছামাত্র রাস্তায় একা পেয়ে ভূমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুরুদ মিয়ার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান মইদাইল গ্রামের মুহিদ মিয়া, মুকিত মিয়া, সুমি বেগম, আরশ আলী।
এ সময় দুরুদ মিয়ার কাছে জমি বন্ধকের নগদ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয়। দুরুদ মিয়ার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রক্তাক্ত জখম থাকায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় দুরুদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জুন রাতেই ৪ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত দুরুদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আসামিদের সাথে আমাদের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এর জের ধরে আমি ও আমার পিতাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে আসতেছে। হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত এজাহার দেয়ার পর আমি আমার পিতাকে নিয়ে মৌলভীবাজার হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে থাকার সময় আরশ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া, মেয়ে রুবিনা বেগম ও সুমী বেগম আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ভাই-বোনের উপর আক্রমণ চালায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের রক্ষা করেন।
কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তোফায়েল আহমদ জানান, এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকেও পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগ বিষয়ে মুহিদ মিয়া গংদের বক্তব্য জানতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি।