বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথের আইন শৃংখলা নিয়ে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ৮ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার নভেম্বর মাসের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্যকালে চেয়ারম্যনরা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানায় কখন কাকে গ্রেফতার করা হয়, আবার কখন কাকে ছেড়ে দেওয়া হয় তা পুলিশ ছাড়া আর কেই জানেন না।
জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর বুধবার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে জানাইয়া গ্রামের ছাইদ আহমদ নামের এক যুবক শায়েস্তা মিয়া নামের অপর এক প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করেন। বৃহস্পতিবার ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ওইদিন (বৃহস্পতিবার) ছাইদ সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৃতীয় আদালতে প্রতারক ও তার প্রতিপক্ষ হাসানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন, (বিশ্বনাথ সি,আর মোকদ্দমা নং- ৩২৪/২০১৭ইং)। ছাইদ বিশ্বনাথের জানাইয়া (নোয়াগাঁও) গ্রামের সমছু মিয়ার ছেলে। আর প্রতারক শায়েস্তা কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর (মাঝপাড়া) গ্রামের ওয়াছিদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান, প্যানেলে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবমাননা করা হয়েছে বলে আইন শৃঙ্খলা সভায় জনপ্রতিনিধিরা উত্তাপন করেন।
আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম স্বপ্না শাহিন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, কবির হোসেন ধলা মিয়া, আমির আলী, তাহিদ মিয়া, নাজমুল ইসলাম রুহেল, মোহাম্মদ আলমগীর ও তালুকদার গিয়াস উদ্দিন। সভায় শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ, পল্লী বিদ্যুতের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম নাজমুল হাসান, ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দ উপিস্থত ছিলেন।
ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদার চেয়ারম্যানদের ক্ষোভের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভার রেজুলেশনে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য অন্তর্ভুক্তি করা হবে।