কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী সংলগ্ন এজমালী সম্পত্তি সুলটুনি মহালের পাথর খেকোদের হিং¯্র থাবায় ক্ষতবিক্ষত বাংলা টিলার লোভানদীর তীরবর্তী স্থান থেকে পাথর উত্তোলনের সময় গত মঙ্গলবার সকালে ৪ শিক্ষার্থী সহ ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কানাইঘাট থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মর্মান্তিক প্রাণ হানির ঘটনার পর থানায় দন্ডবিধি ৩০৪ ধারায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ এজাহারভুক্ত ৩নং আসামী বাংলাটিলার উপরে বসবাসরত মৃত নজির হোসেনের ছেলে যুবদল নেতা নুরুল আম্বিয়া (৩৪) কে গত বুধবার গ্রেফতার করে। কিন্তু মামলায় কাদের আসামী করা হয়েছে এ ব্যাপারে পুলিশ কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করার পর যাদের মামলায় আসামী করা হয়েছে তাদের নাম পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুনু মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের গতকাল রবিবার জানিয়েছেন, সুলটুনি মহাল যা এলাকায় বাংলা টিলা নামে পরিচিত টিলার লোভা নদীর তীরবর্তী যে স্থান থেকে গত মঙ্গলবার স্থানীয় একটি জলসায় কেনাকাটা করার জন্য ৪ শিশু শিক্ষার্থী সহ ৬ জন পাথর সংগ্রহ করতে গিয়ে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই স্থানটির রেকর্ডীয় সূত্রে মালিক কান্দলা বাজেখেল গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ সুলেমান। তাকে মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া যাদেরকে মামলার আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, আহমদ সুলেমানের ছোট ভাই আহমদ আব্দুল্লাহ, গ্রেফতারকৃত নুরুল আম্বিয়া ও তার ভাই মিজানুর রহমান, কান্দলা গ্রামের বখতিয়ার হোসেন, সুলটুনি মহালের দেশ পক্ষের মামলার বাদী একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম, সাউদগ্রামের পাথর ব্যবসায়ী হাজী বিলাল আহমদ, কান্দলা গ্রামের বদরুল মাষ্টার। মামলায় আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ নুনু মিয়া জানিয়েছেন, সুলটুনি মহাল ও বাংলা টিলা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সাথে আহমেদ সুলেমান পরোক্ষ ভাবে জড়িত। তাই তাকে মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাথর কোয়ারী ও বাংলাটিলার আশপাশ এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদন্তকালে যাদের নাম বেরিয়ে আসবে তাদেরও মামলায় আসামী করা হবে।