জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী আত্মহনন মামলার আসামিরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার প্রায় ৩ মাস অতিবিাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি ধরা পড়েনি। এতে হতভাগ্য কলেজ ছাত্রীর পরিবারে হতাশা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ জুলাই দিন দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের দিনমজুর আখলুছ মিয়ার ষোড়শি কন্যা জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজের মেধাবী ছাত্রী রুমেনা বেগম (১৮) কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই ইউনিয়নের চকাছিমপুর গ্রামের আফরোজ আলী ওরফে আবু মিয়ার বখাটে ছেলে অটোরিকশা চালক ইউনুছ আলী (২৩) ও তার সহযোগি আরেক চালক শাহেদ মিয়া কলেজ ছাত্রীকে বাড়ি পৌছে দেয়ার নামে গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি শালিসে নিষ্পত্তি করার কথা বলে স্থানীয় শালিসি ব্যক্তি আরিফ উল্লাহ ধর্ষিতার পিতাকে অপমান করেন। এতে সামাজিক লোক লজ্জার অপমানে ক্ষোভে-দুঃখে ঘটনার ৬ দিন পর গত ৩১ জুলাই রাতে বিষপানে আত্মহনন করেন হতভাগ্য কলেজ ছাত্রী রুমেনা বেগম। এ ঘটনায় গত ২ আগস্ট কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই জুনেদ আহমদ বাদী হয়ে ধর্ষক ইউনুছ আলী, শাহেদ মিয়া, আফরোজ আলী ওরফে আবু মিয়া, নুরুল আলম, আবুল মিয়া ও বিতর্কিত শালিসি ব্যক্তি আরিফ উল্লাহ সহ ৬ জনকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তখন চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনেক আন্দোলন করে হতভাগ্য কলেজ ছাত্রীর সহপাঠি কলেজ শিক্ষার্থীসহ সচেতন এলাকাবাসী।
এছাড়া উক্ত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন মামলার বাদী জুনেদ আহমদ।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী জুনেদ আহমদ বলেন, আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তবে ঘটনার প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলার কোন আসামি ধরা পড়েনি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, মামলার কোন আসামিকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। তাদের কারণে আমার বোন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী আত্মহনন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান জানান, এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অনেকবার অভিযান চালানো হয়েছে। আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।