দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ আহত ও ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাজিতপুর মসজিদের ডোবায় মাছ মারা নিষেধ করায় বুধবার সকালে স্থানীয় শ্যামলবাজারে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপি তুমুল সংঘর্ষের সময় পুলিশের ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের গুলিতে অন্তত ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। গুলিবিদ্ধরা হলেন বাজিতপুর গ্রামের শিরুল (৩০), আনোয়ার (২৬), রাসেল (৩২), জিয়াউল (২৬), বদরুল (১৮), গিয়াস (৪০) সুনুর আলী (৩২)। উভয় পক্ষের অন্যান্য আহতরা হলেন, নুর মিয়া (২৮), জুয়েল (২৮), জাবেদ (২৫), রমজান (৩২),বাসির (৪৫), ইকবাল (২৪), নুরুল (৩৫), সাজনা বেগম (২৮), জয়তেরা বেগম (৩২), মনফর আলী (৩৫), আনর আলী (৩৫), আফতাব উদ্দিন (৩০), আখতার হোসেন (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৩০), আলী হোসেন (৪০) আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সুনামগঞ্জ সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় দু’পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হন দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বারী (৩৮)। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই ছাইদুর রহমান, এএসআই শিবলু, কনস্টেবল আছকির মিয়া, সুমন, জয়ন্ত। সংঘর্ষের পরে পুলিশ কে নিয়ে কটাক্ষ করায় বাজিতপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র আসাবুজ্জামান (৩০) কে আটক করা হয়। দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক বলেন, সংঘর্ষে ৫৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। উভয় পক্ষের আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।