সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ ওসমানীনগরে শিক্ষক পরিবারের কবরস্থান দখলে নিতে মরিয়া প্রভাবশালী মহল

43

ওসমানীনগরে এক শিক্ষক পরিবারের কবরস্থানের ভূমি দখলে নিতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের মৃত মাস্টার মো. আব্দুর রবের পুত্র শিক্ষক মো. গোলাম আজম। তিনি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক দখলকৃত তাদের পৈত্রিক ভূমি উদ্ধার ও কবরস্থানের ভূমি দখল পাঁয়তারা বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম আজম বলেন, তিনি হাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার ভাই ও বোন শিক্ষকতা করছেন। তার পিতা আব্দুর রবও শিক্ষক ছিলেন।  তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের কোনো থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিলনা। সম্প্রতি ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের গৌছ মিয়ায় পরিবার কর্তৃক পৈত্রিক ভূমি দখল, কবরস্থান দখলের পায়ঁতারা ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওসমানীনগর উপজেলার নিজ বুরুঙ্গা মৌজার জেএল নং ৬৯, খতিয়ান নং ৯৯৯, দাগ নং ২১২৮-এ তার পিতা আব্দুর রবের নামে এক কেদার ভূমি, যা পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে রয়েছে। কিছুদিন আগে পারিবারিক এ কবরস্থানে বাঁশের বেড়া স্থাপন, বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। কিন্তু একই গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার স্ত্রী ও তার ভাই মাখন মিয়াসহ তাদের আত্মীয় স্বজন  কবরস্থানটি দখলে নিতে পেশিশক্তি ব্যবহার করে কবরস্থানের ভূমির বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে দখলের পাঁয়তারা শুরু করে।  এ বিষয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওসমানীনগর থানায় তিনি একটি লিখিত আবেদন করেন। ১৩ অক্টোবর এটি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত হয়। যার নং ৭১৪। তারা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করে। শিক্ষক পরিবারের সদস্য ও আইন মান্যকারী হিসেবে বিভিন্ন সংস্থায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে তাদের অভিযোগের জবাব দেয় হয়। এরপরও ১৩ অক্টোবর রাত ১টায় ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা ফোর্স নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। ওসি বলেন, জায়গা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। এসময় ওসিকে তিনি কবরস্থান তাদের মৌরসী সম্পত্তি জানালে ওসি তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন। খবর পেয়ে বুরুঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমজি রসুল খালেক (লটই) ও আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। তখন ওসি ৫৪ ধারায় তাকে আটক করে নিয়ে থানায় নিতে চান। এ সময় চেয়ারম্যান ও উপস্থিত লোকজন বাঁধা প্রদান করলে তিনি বলেন, উপর থেকে অনেক চাপ রয়েছে। তাই কবরস্থানে আর কোন প্রকার কাজ করবেন না, গেইটের পিলারগুলো ভেঙ্গে ফেলবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুহিব খান, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, রন দেব, ফয়ছল আহমদ, অহিদুল মিয়া, গোলাম জিলানী ও রায়হান আহমদ। বিজ্ঞপ্তি