হজ ফ্লাইট শুরুর আগেই বেড়েছে সৌদি রিয়ালের দাম

15

 

কাজির বাজার ডেস্ক

পবিত্র হজ পালনের জন্য আগামী ২১ মে থেকে সৌদি আরবে যাত্রা শুরুর কথা রয়েছে। অবশ্য তার আগেই সৌদি আরব-বাংলাদেশ বিমান চলাচল বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সৌদি রিয়ালের দামের ওপর।
গত তিন মাসে ব্যাংকে সৌদি রিয়ালের দাম প্রায় দুই টাকা বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রতি রিয়ালের দাম বেড়েছে সাত টাকারও বেশি। এছাড়া, ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজারেও সৌদি রিয়ালের দাম বেড়েছে। সৌদি রিয়ালের দামের সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে হজযাত্রীদের খরচও। জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রæয়ারি জনতা ব্যাংক প্রতি রিয়াল বিক্রি করেছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সায়। গত ৫ মার্চ এ দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ টাকা ৫০ পয়সায়। ৫ এপ্রিল ব্যাংকটি প্রতি রিয়াল বিক্রি করেছে ৩১ টাকা ২০ পয়সায়। এখনো একই দামে রিয়াল বিক্রি করছে ব্যাংকটি। অগ্রণী, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে এর চেয়ে ১০-২০ পয়সা কম বা বেশি দামে সৌদি রিয়াল বিক্রি হচ্ছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে বিশেষ করে সৌদি ফেরত যাত্রীদের অধিকাংশই শ্রমিক। তারা ব্যাংকে না এসে খোলাবাজার ও মানি চেঞ্জারে গিয়ে বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করে থাকেন। এ কারণে ব্যাংকে রিয়ালের দাম বেড়েছে।
মতিঝিলের মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারে রিয়াল বিক্রি হচ্ছে ২৯ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৮৫ পয়সা দামে। গত বছরের মার্চে প্রতি সৌদি রিয়ালের দাম ছিল ২৪ টাকা।
মুদ্রা ব্যবসায়ীরা জানান, রিয়ালের চাহিদা এখন বেড়েছে। সে তুলনায় সরবরাহ কম। এ কারণে দাম কিছুটা বেশি। তবে ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে সৌদি রিয়ালে দাম এখনো কম।
ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা হজের খরচের বাইরে ১ হাজার ২০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। মূলত যাত্রীরা আগেই হজের খরচ পরিশোধ করে দেন। এর বাইরে প্রতি হজযাত্রী হজে যাওয়ার সময় বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যান। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। গত এপ্রিল থেকে হজযাত্রীরা সৌদি রিয়াল কেনা শুরু করেছেন।
গত ৮ ফেব্রæয়ারি প্রথম হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়। হজে যেতে ইচ্ছুক হলেও চ‚ড়ান্ত নিবন্ধন না করা পরবর্তীতে গত ২৫ এপ্রিল একদিনের জন্য হজ নিবন্ধনের সার্ভার উন্মুক্ত করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ বা ২৮ জুন হজ শুরু হবে। আর এ বছর হজের জন্য যারা আবেদন করেছেন, তাদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আগামী ৫ মে বা আরবি শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু করবে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।