মৎস্যকন্যা

24

সুদীপ দাস

কোলের মেয়ের মতো আগলে রাখছ এখনো আমাকে,
ভাত মেখে গ্রাসে গ্রাসে তুলে দিচ্ছ মুখে,
পালটে দিচ্ছ ভেজা জামা, না-কাচা টপ;
জলপটি পুরোনো অসুখে…

আমি শান্ত মেয়ে নই। বায়না অনেক –
খেয়েদেয়ে এঁটো হাত মুছে ফেলছি জামার হাতায়,
বইয়ের ঘরে কাটাকুটি খেলে, ছবি এঁকে ,
দেওয়ালে গুহাচিত্র , নষ্ট করছি, যতদূর নষ্ট করা যায়।

এসব সমস্যা নয়। সামলে নিতে শিখে গেছ বেশ,
অভিমানিনীর মুখে কী’করে ফোটাতে হয় হাসি জানো,
মাঝেমধ্যে আড়ি হোক। সে খেলাও খেলেছি সম্প্রতি,
অধুনা দুজনেই বেশ ভালবাসি।

শুধু চুল বাঁধতে বসলে বদলে যায় আমাদের খেলা,
বারবার খোলো। বাঁধো। টেনে খোলো শরীরের আঁশ ;
বেছে বেছে চিনে নাও মুড়ো গাদা পেটি –
তাদের পৃথক স্বাদে ভরে ওঠে আমিষ আকাশ ।

অতীত পৃথিবী জুড়ে তারুণ্যের উদযাপন শুরু হয় রাতে –
ধুলোতে গড়ায় বঁটি। কিশোরী চিরুনি-আয়না গড়ায় মাছের বিছানাতে…