কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভয়াবহ আগুনে ১৬ দোকানসহ ১টি বসতবাড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৪ আগষ্ট) ভোর সাড়ে ৫টায় উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর এলাকার ঠাকুর বাজারে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারনে আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন দেখে বাজার প্রহরী বাসুদেবপুর মসজিদের মোয়াজ্জিন আরজু মিয়া মসজিদের মাইকে এনাউন্স করে বিষয়টি এলাকাবাসীকে অবহিত করেন। এলাকাবাসী এসে ফায়ার সার্ভিসকে কয়েকদফা ফোন করলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি। পরে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকান্ডে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মামনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাটিজ স্টোর, কে এম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্ণিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর, নজরুল মিয়ার গুদাম ঘর ও জুয়েল মিয়া’র বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঠাকুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জইনউদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন, রফিক মিয়া, আব্দুল্লা মিয়া, সাবেক মেম্বার মোবারক মিয়াসহ শতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পড়ে সব ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোই ছিল তাদের শেষ সম্ভল। এই দোকানের আয় দিয়েই তাদের সংসার চলতো। ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে এসে প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আরো কিছুক্ষণ আগে জানালে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো কম হতো। কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল কাদির জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। পানির পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় কাজ করতে পারিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক জানান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।