স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। গত ৭ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষার কাজ চলছে। এ ল্যাবে কাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুজনের মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এর বাইরে ঢাকা আইইডিসিআরের ল্যাবে পরীক্ষায় সিলেট বিভাগে তিনজনের শরীরে এ ভাইরাসের অস্তিÍত্ব ধরা পড়েছে।
এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ওসমানীর ল্যাবে সিলেট বিভাগের ৫৭১ জন মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে আক্রান্ত মানুষ পাওয়া গেছে দুজন। এ দুজনই সুনামগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ওসমানীর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত রবিবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার এক নারী করোনাক্রান্ত বলে সনাক্ত হন।
পরদিন সোমবার সুনামগঞ্জের সদরের আরেক নারী করোনা পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়েন। এ নারীর নমুনাও ওসমানীতে পরীক্ষা করা হয়।
এর বাইরে, গেল ৫ এপ্রিল সিলেট বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনাক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে। নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক মঈন উদ্দিন আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হন। তার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ঢাকায় আইইডিসিআরে। বুধবার তিনি মারা গেছেন।
এছাড়া গত ৫ এপ্রিল রাতে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের এক ব্যক্তি করোনাক্রান্ত হিসেবে ধরা পড়েন। কিন্তু করোনার উপসর্গ নিয়ে আগের দিনই তিনি মারা যান। পরে তার শরীরের নমুনা ঢাকায় পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত করা হয়। ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে আসা এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে গত শনিবার। তার নমুনাও ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।