স্টাফ রিপোর্টার :
শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন গতকাল ছিল মহানবমী। আজই বিদায় নেবেন মা দুর্গা। এ কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে।
শুক্রবার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীতে সকাল ৬টা থেকে সিলেট নগরীর সবকটি মণ্ডপে পূজা দেওয়া শুরু হয়। নবমী তিথিতে মহানবমী কল্পারম্ভ বিহিত ও সন্ধি পূজা। নানা আচারের মধ্য দিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেন।
তবে, সকাল থেকে কখনও গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনও অঝোর ধারায় বর্ষণের কারণে কিছুটা বিঘœ ঘটছে পূজারীদের। বৃষ্টির কারণে মণ্ডপে যেতে আসতে ভক্ত-দর্শনার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। দর্শনার্থীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে পূজার আনন্দে খানিকটা বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার সমাপন ঘটবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। সনাতন বিশ্বাসে-বোধনে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে আনন্দময়ী মা উমাদেবীর আগমন ঘটে। টানা পাঁচদিন মৃন্ময়ীরূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে কাল ফিরে যাবেন কৈলাশে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।’
‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দূর কৈলাশ ছেড়ে মা পিতৃগৃহে আসেন নৌকায়। কাল বিজয়া দশমীতে এয়োস্ত্রীদের দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলার পর বিদায় নেবেন দোলায়। ফলম দোলায়াং- মড়কং ভবেত্।
আজ সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে নামবে ভক্তদের ঢল। ঢাক আর শঙ্খধ্বনি। টানা মন্ত্র পাঠ। উলুধ্বনি আর অঞ্জলি। সঙ্গে ঢাকের বাদ্য, নাচ, সিঁদুর খেলা। ধান, দুর্বা, মিষ্টি আর আবির দিয়ে দেবীকে বিদায় জানাবে ভক্তরা। অনেকে উপবাস করবেন। একদিকে বিদায়ের সুর। অন্যদিকে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন মণ্ডপে চলবে আবির উৎসব। সকালে দেয়া হবে দর্পণ ঘট বিসর্জন।
সিলেটে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিজয়া শোভাযাত্রা শেষে সুরমা নদীর চাঁদনী ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে।