স্টাফ রিপোর্টার :
শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ বৃহস্পতিবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। কুমারী পূজনং ফলং বক্তু নার্হামি সুন্দরী।/ জিহ্বাকোটি সহ¯্রস্তৈু বস্তুকোটি শতৈরপি। অর্থ্যৎ সনাতন ধর্ম মতে কুমারী পূজা হলো ১৬ বছরের কম বয়সী অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পূজা। শারদীয় দুর্গাপূজার অংশ হিসেবে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিবছর দুর্গাপূজার মহাষ্টমী পূজার শেষে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে নবমী পূজার দিনও এ পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে। পুরাণ মতে দেবগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।
গতকাল বুধবার ছিল মহাসপ্তমী। মহাসপ্তমীতেই মোটামুটি ভিড় ছিল নগরী ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজামন্ডপগুলোতে। বুধবার উলুধ্বনি, শাঁখের সুর, সঙ্গে ঢোলের শব্দে মুখরিত ছিল প্রতিটি মন্ডপ প্রাঙ্গণ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মন্ডপে মন্ডপে বাড়ে দর্শনার্থী ও ভক্তদের ভিড়। চলে মহাপ্রসাদ বিতরণ ভক্তদের মাঝে। মহাষষ্ঠী তিথিতে অসুর শক্তির বিনাশে ‘মঙ্গলময়ী’ দেবী দুর্গার আবাহনে শুরু হয় বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সিলেটে এবার ৫৭৬টি পূজামন্ডপে চলছে পূজোর আনুষ্ঠানিকতা।
শারদীয় দুর্গোৎসব ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে কাল শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব। পূজা একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মাচরণের অংশ হলেও ঐতিহ্যগতভাবেই ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই উৎসব এখন সর্বজনীন উৎসবে রূপ লাভ করেছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী, অসুর শক্তির বিরুদ্ধে সুরশক্তির বিজয়ের চেতনা বিশ্বজনীন।
পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলাতে এবারের মোট পূজার সংখ্যা ৫৭৬ টি। এর মধ্যে ৬০ টি পূজা ব্যক্তিগত। এছাড়া নগরীতে মোট ৬৪টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার মধ্যে ৪৭ টি মন্ডপে সার্বজনীন দুর্গা পূজা ও ব্যক্তিগত পূজা ১৭টি। এসব মন্ডপ ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বড় মন্ডপগুলোতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পূজা চলাকালীন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে।