কাজিরবাজার ডেস্ক :
সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ করছে ছাত্র ও শিক্ষকরা। স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি আর তাঁর দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াংগুনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী ডাকা হয়েছে। শুক্রবার বিবিসিসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এখবর প্রকাশিত হয়।
সরকার পতনের পাঁচ দিন পর এই প্রথম মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হলো। শুক্রবার কয়েকশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ড্যাগন ইউনিভার্সিটির বাইরে অবস্থান নিয়ে সেনা শাসনের অবসানের দাবিতে শ্লোগান দেয়। এ সময় অনেকেই হাতের তিন আঙ্গুল উঁচিয়ে প্রতীকী ভাষায় সামরিক শাসনবিরোধী অবস্থান ইঙ্গিত করেন।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিন সিথু নামের এক ছাত্র বলেন, “আমরা কোন অবস্থাতেই পরবর্তী প্রজন্মকে সেনা শাসনের নিপীড়নের শিকার হতে দিব না।”
এ সময় অনেকেই বার্মিজ ভাষায় ‘সু চি মা দীর্ঘজীবী হোন’ বলে শ্লোগান দেন। বিক্ষভকারীদের অনেকের হাতে এনএলডি পার্টির লাল পতাকা দেখা যায়। ইয়াংগুন ছাড়াও শুক্রবার অনেক অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়রাও বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন। বাসাবাড়ি থেকেও বিপ্লবী শ্লোগান দেয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদ গান বাজানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চি বা তাঁর সঙ্গে আটক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে সেনা অভ্যুত্থানকে অগণতান্ত্রিক ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন দাবি করে প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেছে ক্ষমতাচ্যুত গণতান্ত্রিক দল এনএলডি।
বুধবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের চিকিৎসকরা আন্দোলন ডাকার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচী শুরু হয়।