কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। জানা যায়, গত সোমবার উপজেলার দক্ষিণবানী গ্রাম ইউপির ব্রাহ্মণগ্রামের প্রবাসী হোসেন আহমদের ১৪ বছরের কিশোরী তাহমিনা আক্তার সুমিকে একই ইউপির বানীগ্রামের দুবাই প্রবাসী শিপলু আহমদের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনা বেগমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক বাল্য বিবাহ রোধে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদকে নির্দেশ প্রদান করলে থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার বাল্য বিবাহের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য স্থানীয় গাছবাড়ী রহমান কমিউনিটি সেন্টারে যান। পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারে হানা দিয়েছে জানতে পেরে পাত্র শিপলু আহমদ বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ছিটকে পড়ে ও কিশোরী কনে তাহমিনা আক্তার সুমিকে কমিউনিটি সেন্টারে আনা হয়নি। এমতাবস্থায় থানা পুলিশ বাল্য বিবাহটি সম্পন্ন না করার জন্য বর ও কনে পক্ষকে কড়া নির্দেশ দিয়ে চলে আসেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের বেলায় কনে পক্ষের আত্মীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন ও বর পক্ষের আত্মীয় ইউপি সদস্য মখলিছুর রহমানের সহযোগিতায় বাল্য বিবাহটি সম্পন্ন করে কনে সুমিকে বর শিপলুর ঘরে পাঠানো হয়। কনের চাচা মড়া মিয়া জানান, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বিবাহটি সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাল্য বিবাহের প্রসজ্ঞটি নানা অযুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।