লোভাছড়া পর্যটন কেন্দ্র বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

28

গত ১৮ আগষ্ট শুক্রবার কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পর্যটন কেন্দ্র বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে পর্যটন কেন্দ্র বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি তারেকুল ইসলাম মারুফের সভাপতিত্বে এবং রুমান আহমদের পরিচালনায় জনাকীর্ণ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন কিবরিয়া আহমদ। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সানাওয়ার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রাইটস্ ট্রাষ্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন খাঁন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এনায়েতুল বারী মুর্শেদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সিলেট বিভাগের প্রেসিডেন্ট রকিব আল মাহমুদ, এডভোকেট মামুনুর রশীদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক তারেক হাসান চৌধুরী, কিবরিয়ার চৌধুরী, কবি সায়মন, আবুল কাশেম, গবেষক ওয়েছুর রহমান, আবুল ফজল, রুমান আহমদ। বক্তব্য রাখেন সালেহ আহমদ, আব্দুল কাহির ডালিম, ইমরান আহমদ, আলিম উদ্দিন, শিব্বির আহমেদ। বক্তারা বলেন নির্মল শান্ত, সুনিবিড় লোভাছড়াকে পাথর খেকো সন্ত্রাসী চক্র কোন আইনের তোয়াক্কা না করে আঘাতে আঘাতে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপূর্ব রূপ লোভাছড়া। কেবল পর্যটক আকর্ষণ নয়, দেশের অর্থনীতিতেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। লোভাছড়া চা-বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে চলা লোভা নদী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক আধার। লোভাছড়া হতে পারত দেশের অন্যতম ব্যস্ত পর্যটন স্থান। সিলেটবাসীর দাবী, লোভাছড়াকে পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন ঘোষণা করে অবিলম্বে একটি উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী। বর্তমানে সুরমার মিলনস্থল থেকে লোভাছড়ার সীমান্ত পর্যন্ত লোভা নদীর দুই তীর কেটে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। পাথর উত্তোলনে নদীর দু’পার ভেঙ্গে শত বছরের পুরনো বাজার সহ আশপাশের অনেক জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
নদী তীরের যেখানে পাথরের স্তর পাওয়া গেছে, সেখান থেকে মাটি কুঁড়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। যেখানে পাথর পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানেও পাথরের সন্ধানে মাটি কুঁড়ে পাথর উত্তোলন করার চেষ্টা করছে। এসব পাথরের উত্তোলনের সঙ্গে অনেক প্রভাবশালীরা জড়িত। এছাড়াও কানাইঘাট ১নং ইউনিয়নের অনেকের বাড়ী, জমি ও টিলা কেটে পাথরের মহোৎসব চলছে। নেতৃবৃন্দ এমন বিপর্যয় থেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পর্যটন মন্ত্রী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি লোভাছড়া। বিজ্ঞপ্তি