গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটে গেল কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত ছিল জনজীবন। গত বুধবার থেকে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ফলে গোয়াইনঘাটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে সম্প্রতি বন্যায় এই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সহ¯্রাধিক ঘর বাড়ি ও বিশ হাজার পরিবারের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। প্লাবিত হয়েছিল কৃষকের প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর ফসলী জমি ও বীজ তলা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব লোকজনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় ১৮ মে. টন জি.আর চাউল ত্রাণ সহায়তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আরও সাড়ে ১৩ মে. টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থদের জন্য ইতিমধ্যে সরকার সাড়ে ৪ হাজার ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দিয়েছে। যা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী দুয়েক দিনের মধেই বিতরণ করা হবে।
এদিকে ফসলী জমি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। যদিও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছেন এবারের আমনের অধিকাংশ ধানের বীজ বন্যা সহনশীল। তাই দুই চারদিন পানির নিচে থাকলেও এসব ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন গোয়াইনঘাটের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতির দিকে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন অনুসারে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।