ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

33

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পৃথক সংঘর্ষে ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে দক্ষিণ কুর্শি গ্রামের মৃত আছকির আলীর পুত্র সাবেক মেম্বার মনির উদ্দিন ও একই গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র মজলু মিয়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় আধঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে গুরুত আহত ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনির উদ্দিন ও মজলু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিরোধকৃত ভুমিতে হালচাষ করা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত সমছুল হক (৩৩), মজলু মিয়া (৪০), সেলিম আহমদ (৩০) ও জলু মিয়া (৪৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হানিফ আলী (২৮), মতলিব আলী (৬৫), ছাদিক মিয়া (১৮) ছায়াদ আলী (৩০), নোমান (৩৩), তালেব (২৫)সহ আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৬জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে ছাতক সদর ইউনিয়নের আন্ধারীগাঁও গ্রামে ঘটেছে। জানা যায়, আন্ধারীগাঁও গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র খালেদ মিয়ার সাথে একই গ্রামের আছমত আলীর পুত্র আব্দুল আলীর ব্যবসায়ী লেনদেন রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে খালেদ মিয়ার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেল আব্দুল আলীর সাথে সে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় আধঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত কালা মিয়া (৬৭), আনফর আলী (৩৫), সাদিকুর রহমান (৩৪), আজির আলী (৩০), আঙ্গুর মিয়া (২২) ও বিল¬াল মিয়া(২০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আনসার আলী (২৯), আব্দুল আলী (৩৮), আলাল (৩৫), বেলাল মিয়া (২৬)সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।