জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে এড. লুৎফুর রহমান ॥ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্মরণীয় হবে রবীন্দ্র স্মরণোৎসব

8
সিলেটে রবীন্দ্রনাথ : শতবর্ষ স্মরণোৎসব পর্ষদের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটবাসীর আমন্ত্রণে ‘শ্রীভূমি’ সিলেটে এসেছিলেন ১৯১৯ সালের নভেম্বরে। ২০১৯ সালে এর শতবর্ষপূর্তি হচ্ছে। সিলেটবাসীর জন্য পরম শাঘনীয় সেই স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাই সিলেটে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব’।
উৎসবে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সাথে উৎসব উদযাপন পর্ষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য প্রদান কালে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান বলেন, দুইবারের সফল অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত দেশের কাছে এবং বিশে^র কাছে একজন নন্দিত ব্যাক্তিত্ব। তিনি আমাদের গর্ব। তাঁর নেতৃত্বে সিলেটে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমণের শতবর্ষ উদযাপন আমাদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে সফল করে তুলতে হবে। তিনি কবিগুরুর অমর সৃষ্টি গীতাঞ্জলী গ্রন্থের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কবিগুরুর সৃষ্টি বিশ^জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তাই সিলেটে এই আয়োজনে সকল জনপ্রতিনিধিরা সর্বাত্মকভাবে এগিয়ে আসবেন বলে আমরা বিশ^াস রাখি।
তিনি আরো বলেন, সিলেটে এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আগমণ এই উৎসবকে আরো স্মরণীয় করে রাখবে।
সভায় বক্তারা আরো বলেন বলেন, সিলেটের উন্নয়নে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের অবদান কখনো ভুলার নয়। সিলেটে কবিগুরুর আগমণের শততমবর্ষ উদযাপনে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই অনুষ্ঠানকে নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন দেখছেন তা সকলের প্রচেষ্টায় সার্থক হয়ে উঠবে বলে মনে করি। এসময় সিলেটের জনপ্রতিনিধিরা অনুষ্ঠান সফলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভার এক পর্যায়ে মুঠোফোনে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা কামনা করে বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সিলেট জেলার সভাপতি সিকন্দর আলী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ জেড রওশন জেবিন রুবা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, রেজওয়ান আহমদ, তৌফিক বকস লিপন, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, নজরুল ইসলাম মুনিম, সিকন্দর আলী, রকিবুল ইসলাম ঝলক, আফতাব হোসেন খান, ইলিয়াসুর রহমান, জিল্লুর রহমান উজ্জল, আব্দুল মুহিত জাবেদ, তাকবির ইসলাম পিন্টু, শওকত আমীন তৌহিদ, এ কে লায়েক, তারেক উদ্দিন তাজ, মহিলা কাউন্সিলর এডভোকেট সালমা সুলতানা, নাজনীন আক্তার কণা, কুলসুমা বেগম পপি, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য এ জেড রওশন জেবিন রুবা, নুরুল ইসলাম ইছন, মো. শাহনুর, সুষমা সুলতানা রুহি, সাজনা সুলতানা চৌধুরী, কুচাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি