স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরের মতো তৃতীয় আসরেও জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হয়েছিলো। মঞ্চ কাঁপিয়েছিলেন বলিউড তারকা ঋত্বিক রোশন, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও কেকের মতো তারকারা। কিন্তু সর্বশেষ আসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়নি। তবে এবার ধামাকা নিয়ে আসছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আগামী দুই নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হবে জমকালোভাবে।
জমকালো এই আয়োজনে খ্যাতিমান দেশি শিল্পীদের পাশাপাশি ভারত থেকে নিয়ে আসা হবে নামিদামি তারকাদের। পঞ্চম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাবেন ভারতের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিত সিং। ইতিমধ্যেই অরিজিতের সাথে সব চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সুরের মূর্ছনার জাল বিছানোর কাজটা করবেন খ্যাতির শীর্ষে থাকা অরিজিত।
অনুষ্ঠানের বাকি অংশ মাতিয়ে রাখার জন্য বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পছন্দ বলিউডের তিন শীর্ষস্থানীয় নায়িকা কারিনা কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফ ও শিল্পা শেঠিকে। এদের সাথেও যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে আয়োজকরা। এমনই জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শেখ সোহেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সোমবার শেখ সোহেল বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের নিয়ে এবার আমরা বড় করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে চাই। বাংলাদেশ থেকে যেমন রুনা লায়লা আপা, সাবিনা ইয়াসমিন আপা ও মমতাজ আপার সাথে আমরা কথা বলবো। ভারত থেকে ইতোমধ্যেই অরিজিতের সাথে চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ক্যাটরিনা কাইফ, কারিনা কাপুর ও শিল্পা শেঠির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’
অরিজিতের আসা চূড়ান্ত হয়ে গেলেও কারিনা, ক্যাটরিনা বা শিল্পার কাছ থেকে এখনো সুবজ সংকেত মেলেনি। শেখ সোহেল বলেন, ‘আমাদের যে সময়, ওই সময়ে ক্যাটরিনা কাইফ ও কারিনা কাপুরের শিডিউলে কিছুটা সমস্যা আছে। আমি গতকাল রাত দেড়টা পর্যন্ত কারিনা কাপুরের ব্যক্তিগত সহকারীর সাথে কথা বলেছি। ও আমাকে বলেছে আমি তোমাকে দুই দিনের মধ্যে জানাবো এই তারিখে পারবো কি না। দুই একদিনের মধ্যে কারিনা কাপুরের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবো।’
তবে ক্যাটরিনা কাইফকে পাচ্ছে না বিপিএল। সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ কারিনা কাপুর। তাকেও না পাওয়া গেলে শিল্পা শেঠিকে নিয়ে আসা হবে। শেখ সোহেল বলছেন, ‘ক্যাটরিনাকে আমরা পাচ্ছি না। আর কারিনাকে না পেলে তার বিকল্প শিল্পা শেঠি। কারিনা না বললে অরিজিত ও শিল্পাকে নিয়ে অনুষ্ঠানটা করতে চাই।’ আগামী দুই নভেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএলের পঞ্চম আসর। গত আসরে সাত দল থাকলেও এবারের বিপিএল হবে আট দলের। এছাড়া প্রতি ম্যাচে বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে পাঁচে নেয়া হয়েছে।