সিলেট সিটি করেপারেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সওদাগরটুলা। এরপরেই চারাদীঘিরপার। ওই দুটি এলাকার লোকদের যাতায়াতের রাস্তা খুবই ছোটো। ওই সড়ক দিয়ে হালকা যান চলাচলও করে। তবে সড়কের বিভিন্ন মোড়ে আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকল বাহিনীর গাড়ি। সড়ক প্রশস্ত করার জন্য সওদাগরটুলা এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এবার সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনেন (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল শনিবার সকালে সড়ক প্রশস্তকরন প্রকল্পের উদ্ধাধন করেন তিনি।
সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকার সড়ক অনেকটা ছোটো। হালকা যান চলাচল করলেও অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকা পড়ে। ওয়ার্ডের অনেক লোক সড়ক বড় করার জন্য সিসিকে আবেদন করেছেন। সিসিক জানায়, ইতিমধ্যে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ নয়াসড়ক-চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার-সুবিদবাজার এলাকার সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। একইভাবে প্রশস্ত করা হয়েছে নয়াসড়ক থেকে জেলরোড এলাকার সড়ক। এসব এলাকার লোকজন স্বেচ্ছায় সড়ক প্রশস্ত করার জন্য জমি ছেড়ে দেন।
সওদাগর টুলা এলাকার লোকজন জানান, আমাদের সড়ক আছে। ছোটোখাটো যান নিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি। কিন্তু ভারী কোন যান আমাদের সড়কে ঢুকতে পারে না। কয়েকমাস আগে সওদাগরটুলা এলাকার এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে সওদাগরটুলা মসজিদে যাওয়ার আগে। পরে এলাকার লোকজন ওই রোগীকে বেশ কিছু এলাকা হেঁটে স্টেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলেন।
এলাকার লোকজন জানান, বছর দুয়েক আগে চারাদীঘিরপার এলাকায় আগুন লাগে। তখন ফায়ার সাভিসের গাড়ি রাখা হয় সওদাগরটুলা ওয়াকফ এস্টেটের মাঠে। তারা জানান, সড়ক বড় হলে লাভবান হবে এলাকার লোকজনই। তারা সড়ক বড় করার কাজে সিসিককে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
এ ব্যপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, নগরবাসী চান সড়ক প্রশস্ত হোক। সড়ক প্রশস্ত করার জন্য অনেকেই ভূমি ছেড়ে দিতেও প্রস্তত। তিনি বলেন, এভাবে সকল এলাকার লোকজন সড়ক প্রশস্ত করার কাজে এগিয়ে এলে সিলেট নগরীতে কোন ছোটো সড়ক থাকবেনা। সড়ক প্রশস্তকর কাজে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল ইসলাম, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি