বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে অন্ধকারে স্ব পরিবারে খুন করা হয় আর একুশ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালায় স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা। সিলেটের গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলার নির্মমতার বিরুদ্ধে ঢাকায় কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা ও গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করে খুনিরা। আজ আওয়ামীলীগের যে সব নেতাকর্মী রক্ত দিয়ে দেশ ও জাতীর কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তাদের রক্তের ঋণ শুধ করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি রবিবার নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ৭ আগস্ট গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলায় নিহত মহানগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ প্রতি বছর ৭ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে সভার আয়োজন করায় ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদের সভাপতি ডাঃ আরমান আহমদ শিপলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহদি কাবুলের পরিচালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, আওয়ামলীগের কেন্দ্রীয় বার্যনির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শওকত আলী, সাবেক কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট রাজ উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী শামসুন নাহার মিনু, যুবলীগ নেতা মুশফিক জায়গিরদার, লোকমান আহমদ চৌধুরী, আব্দুস সুবহান, জাবেদ সিরাজ, প্রনব কান্তি দেব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আরো বলেন, আওয়ামীলীগের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থেকে আগামী সকল নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের এক ও অভিন্ন প্লাট ফরমে দাঁড়াতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, অত্যান্ত সু পরিকল্পিত ভাবে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিন্ন করে দিতে চেষ্টা করেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তাদের মাধ্যমেই সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে ৭ আগষ্টের মতো এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিলো। তিনি বলেন, সে দিনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রক্ত নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন গ্রেনেড হামলায় আহতদের জীবন বাঁচাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ আগষ্ট সিলেটে ছুটে এসে গুলশান সেন্টারে আহতদের দেখে যান ও তাদের চিকিৎসার সু ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ আদর্শের রাজনীতি করে, তাদেরকে কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আবুল ফজল নূর আলী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি সাংবাদিক আবুল মোহাম্মদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মানিক মিয়া, এটিএম হাসান জেবুল, কবির উদ্দিন আহমদ, ফারুক আহমদ, আমিনুর রহমান পাপ্পু, মাহমুদুল করিম নেওয়াজ, বাদশাহ গাজি, মুহিবুস্সালাম রিজভী, এনায়েতুল বারী মোর্শেদ, এম এইচ ইলিয়াস দিনার, মঞ্জুর মুর্শেদ অসীম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি