গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে নয়ন নামে গোলাপগঞ্জ এম.সি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে কি একটা ঝামেলা হয়েছিল। আর এ নিয়ে উভয়ের মথ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে স্থানীয় একাদিক সূত্র গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ সূত্র বলছে উপজেলার বাঘা কান্দিগাঁও’র ঘাট দিয়ে ভয়ে যাওয়া সুরমা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়ে আসছিল তাই এ সংঘর্ষের কারণ। আহতরা হলেন, ফখর গ্র“পের গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিপন (৩০), রাবেল গ্র“পের পৌর ছাত্রলীগ নেতা হাকিম আহমদ (২৫),খাইরুল ইসলাম ও নাজির আহমদ (২৭)। বুধবার বিকাল ৩টায় গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর নূর ম্যানশনের সামনে রাবেল গ্র“পের কয়েকজন কর্মী দিপনের উপর হামলা চালায়। পরে এ ঘটনার ২০-২৫ মিনিট পর ফখর গ্র“পের নেতা কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাবেল গ্র“পের অফিসে গিয়ে হামিক, ফখরুল ও নাজিরের উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেও ফখর গ্র“পের লোকজন নাজিরের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুলিশ হেফাজতে তাদের ৩জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাবেল গ্র“পের অনুসারিরা বলছে নাজিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপরদিকে ফখর গ্র“পের কর্মীকেও স্থানীয় উদ্ধার করে সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা করা হয়। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীদের দোকান পাট বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, দু’গ্র“পের অফিসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌর সদরে দু’গ্র“পের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।