স্টাফ রিপোর্টার :
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের পর সিলেটে গত দুই দিন ধরে তীব্র গরম পড়েছে। গতকাল সোমবার শ্রাবণের দ্বিতীয় দিন ছিল। এতে জনজীবনে অস্বস্তিতে পড়েছেন। খরতাপের তীব্রতা মানুষকে যেমন অস্বস্তিতে যেমন রাখছে তেমনি কাজের প্রতি ছন্দ হারাচ্ছে মানুষ। গরমের এই ক্লান্তি দূর করতে শেষ আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করছেন ঠান্ডা পানি দিয়ে তৈরী লেবুর শরবত ও ডাবের পানি কিংবা কোল্ড ড্রিংক।
নগরী ঘুরে দেখা যায়- বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, বারুতখানা পয়েন্ট, রিকাবীবাজার, মদিনা মার্কেট, শাহজালাল উপশহর পয়েন্টসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চলছে লেবুর শরবত বিক্রির ধুম। সেখানে চিনি মিশ্রিত পানির মাঝে এক টুকরো লেবুর রস দিয়ে নিমিষেই তৈরী করা এক গ্লাস শরবত পান করে যেন প্রাণ সঞ্চার করছেন পথচারীরা। রিকশা কিংবা অটোরিকশা থেকে কেউবা দুই থেকে তিন গ্লাস লেবুর শরবত পান করতে দেখা গেছে।
এদিকে, গরমের তীব্রতা প্রতিরোধে সচেতন মানুষরা ডাবের পানির দিকে ঝুঁকে আছেন। গরমে নগরীর পয়েন্টসহ অলিগলিতে ভ্যানগাড়িতে করে ডাব বিক্রিতে ব্যস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গরমকে কেন্দ্র করে ছোট কচি ডাব ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও বড় ডাব ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
ডাব কিনে পানি পান করা আহাদ আহমদ জানান, ডাবের দাম যদিও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে তবুও ভাল স্বাস্থ্যের জন্য বেশী দাম দিয়ে পানি পান করছি।
স্বল্প মুল্যের চাকরীজীবীদের জন্য লেবুর শরবতই ভরসা উল্লেখ করে তুহিন আহমদ বলেন, দাম কম হওয়ায় দুই থেকে তিন গ্লাস শরবত পান করা যায়। স্বস্তির জন্য রাস্তাঘাটের এই শরবত গ্রহণে তার কোন অসুবিধা হয়না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেট আবহাওয়া সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার দিনের তাপমাত্রা শুরুতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিদ্যমান থাকলেও দুপুরের দিকে ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পৌঁছে। রাতে হালকা বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে । সিলেটে আজ মঙ্গলবার একই তাপমাত্রা থাকতে পারে পূর্ভাবাস দিয়েছে সিলেট অফিস।