বেপরোয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নাম্বারবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা

146

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আম্বরখানা, টিলাগড় ও দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিআরটি ও ট্রাফিক আইনলঙ্ঘন করে CNG-1অনটেস্ট সিএনজি অটোরিক্সা (নম্বারবিহীন), ব্যাটারি ও গ্যাস চালিত নিষিদ্ধ ইজিবাইক (টমটম) অনায়েসে চললেও প্রায় ৩ বছর ধরে কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে পুলিশের মাসোহারা টোকন দিয়েই রাস্তায় চলছে এসব গাড়ী। পুলিশ প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাব আর কতিপয় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না অনটেস্ট সিএনজি অটোরিক্সা। ফলে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্জিত হচ্ছে সরকার।
বিআরটি সূত্র জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে অনটেস্ট সিএনজি অটোরিক্সার রেজিস্টেশনের জন্য বিআরটি অফিসে প্রায় হাজার খানেকের মতো কাগজপত্র জমা পড়ে। এটা নিয়ে মামলাও চলে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব রেজিস্টেশনের আবেদনের কোন সোরাহা হয়নি। এগুলো সিলেট বিআরটি অফিসে এখনো ফাইল বন্দঅ হয়ে পড়েছে। ফলে বিকল্প পথে অনটেস্ট সিএনজি অটোরিক্সার মালিকরা পুলিশ টোকেন দিয়ে রাস্তায় এসব গাড়ীগুলো চালিয়ে থাকেন। আবার অনেক সিএনজি অটোরিক্সার মালিক এ ধরণের ঝুঁকি না নিয়ে অপেক্ষার পর কম দামে গাড়ী গুলো বিক্রি করেও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর আম্বরখানা সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থেকে নিবন্ধনহীন অটোরিক্সা থেকে সমিতি প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এলাকা থেকেই এসব অটোরিক্সা যাত্রী পরিবহন করে গোয়াইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সালুটিকরসহ কয়েকটি এলাকায়। অনটেস্ট গাড়ি চলাচলের কারণে সমিতিকে এয়ারপোর্ট থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ গোয়াইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে দিতে হয় প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে। তবে থানাভেদে প্রতি ভিন্ন রেট রয়েছে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আম্বরখানা সিএনজি অটোরিক্সা সমিতির এক নেতা। এ স্ট্যান্ড থেকে উত্তোলিত টাকাগুলো ভাগ হয় কয়েকটি ধাপে। এর মধ্যে ভাগ পান সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, অপর অংশের ভাগ পেয়ে থাকেন থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ এবং সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) উপ পুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমদ জানান, কাগজপত্র বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান সবসময় অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন নগরীর যানবাহনের মামলা থেকে সরকারের কোষাগারে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা জমা হচ্ছে। নগরী ও শহরতলীতে কাগজপত্র বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চলার কোন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- কাগজপত্র বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান সবসময়ই রয়েছে।