জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ থেকে :
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো: আতাহারুল ইসলাম বলেছেন, নদী মাতৃক দেশে, নদী রক্ষা করা না হলে, বাংলাদেশেকে রক্ষা করা যাবে না। নদীর চরে কোন রকম দখল, দূষণ, সরকার মেনে নিবে না। যারা নদীরের জায়গা দখল করে উপরে মসজিদ আর নিচে দোকানকোঠা নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন তাও সরকার মেনে নেবে না। কারণ যারা নদীর তীর দখল করে ধর্মের নামে ব্যবসা করতে চান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্বনাথের বাসিয়া নদী তীরের ১৮৬টি অবৈধ স্থাপনার মালিকদের আগামি এক মাসের মধ্যে ইউএনও’র নিকট তাদের মালিকানার দলিলপ্রত্রাদি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি আরও বলেন, যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, যাচাই বছাই শেষে তাদেরকে ব্যবসার জন্যে অন্যত্র জায়গা দেয়া হবে।
বুধবার বিকেল ৫টায় বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৪টায় তিনি বাসিয়া নদী তীর পরিদর্শন করেন এবং পায়ে হেঁটে বাসিয়া ব্রীজ থেকে উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি হল রুমের সভায় পৌঁছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হকের উপস্থাপনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য আলা উদ্দিন, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এএসএম ফেরদৌস, বাপা’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল। সভার শুরুতে বাসিয়া নদীর পঠভূমি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক (বেলা) এডভোকেট শাহ শাহেদা। এ সময় প্রজেক্টারের মাধ্যমে বাসিয়া নদীর আগের এবং বর্তমান চিত্র তুলে ধরা হয়।
সভায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব সুনু মিয়া, আরশ আলী রেজা, প্রবাসী তাজ উদ্দিন, ফজর আলী মেম্বার, খলিল আহমদ, সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল ও সাংবাদিক প্রণঞ্জয় বৈদ্য অপু এবং বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খান।