চা শ্রমিকদের উপর হামলকারীদের গ্রেফতারে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম ॥ জাফলংয়ে চলমান চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

11

জাফলংয়ে নিরীহ চা-শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ঘটনার প্রতিবাদে চলমান চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২১ মে মঙ্গলবার এ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জাফলং চা-বাগানের চা শ্রমিকরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাথর উত্তোলনকারী ভূমি খেকো সন্ত্রাসীদের চা শ্রমিকদের উপর হামলার দৃষ্টান্তমূল বিচারের আশ্বাস প্রদান করেছেন চা-বাগানে মালিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, চা-শ্রমিকরা অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। সব কিছুর পরিবর্তন হয় শুধু চা শ্রমিকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাদের অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বাগানের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন তারা। তাদের ঘামের ফসল হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। হচ্ছে রাজস্ব আয়। আর তাদের উপর পাথর উত্তলনকারী ভূমি খেকো সন্ত্রাসীদের হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা অচিরেই এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করবো। আমাদের আশ্বাসে আপনারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। পাথর উত্তোলনকারী ভূমি খেকো সন্ত্রাসীদের বিচারের মাধ্যমেই অচিরেই চা শ্রমিকদের উত্তম প্রতিদান দেওয়া হবে।
মালিক পক্ষের প্রতিনিধি জাফলং চা বাগানের ম্যানেজার ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জৈন্তাপুর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা, জাফলং চা বাগানের ব্যবস্থাপক একরামুল কবির, জাফলং চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সজল চাষা, সরদার শ্যামল নায়েক, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সয়েন মেম্বার, সার্বানা মাহালী সহ সর্বস্তরের চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি