হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

42

স্টাফ রিপোর্টার :
বিয়ানীবাজারে তারেক আহমদ হত্যা মামলায় চাচাত ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি law_nd_order__sm_340276666২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট দায়রা জজ আদালতের বিচারক মনির আহমেদ পাটোয়ারী এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম- লিয়াকত আলী (২৫)। সে বিয়ানীবাজার থানার জালালনগর গ্রামের মোঃ আরব আলীর পুত্র। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী লিয়াকত আলী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৪ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিয়ানীবাজার জালালনগর গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়িতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষ লিয়াকত আলীসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সঞ্জিত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মানিক মিয়ার পুত্র তারেক আহমদ (১৭)কে লিয়াকত দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে তারেক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার ২দিন (১৬ আগষ্ট) পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহত তারেকের মা আছমা বেগম বাদি হয়ে লিয়াকত আলী তার মা তাহেরা বেগম ও সোয়ারা বেগমকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নং- ৮ (১৭-০৮-১৩)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিয়ানীবাজার থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ দেলোয়ার হোসেন ২০১৪ সালের ৪ মার্চ একমাত্র লিয়াকত আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন এবং ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে মামলার বিচারকার্য্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানী ও ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী লিয়াকত আলীকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এডিশনাল পিপি এডভোকেট সামছুল ইসলাম ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মোঃ সুরুজ আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।