নগরীর সুরমা নদীর উপর নির্মিত কাজিরবাজার ব্রীজের উপর দিয়ে জেলা প্রশাসনের হাস্যকর এক সিদ্ধান্তে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র হালকা যানের জন্য ব্র্রীজটি উন্মুক্ত। কিন্তু এখন পুরো ব্রীজ হয়ে পড়েছে গাড়ি পার্কিং ও স্টল। একদল চাঁদাবাজ ব্রীজের উপর স্ট্যান্ড বসিয়ে নিত্যদিন টাকা আদায় করছে। পাশপাশি বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমান ও ভাসমান স্টল এবং দোকান। যেন চাঁদাবজি দোকানদারী ও স্ট্যান্ড-এর জন্য বানানো হয়েছে ব্রীজটি। পার্কিং ও দোকানীদের কারণে সাধারণ পথচারীরা ব্রীজের উপর দিয়ে পায়ে হেটে পাড়ি দিতে পারেন না। টি-স্টল ফুসকা-চটপটি দাকানের পাশপাশি মদ-গাঁজা ও পতিতার হাটও বসে ব্রীজের উপর। আইনশৃংখলা বাহিনীকে টু-পাইস দিয়ে ম্যানেজ করে সুবিধাভোগীরা এ সব অপকর্মের আস্তানা বানিয়ে দিয়েছে জনগণের টাকায় নির্মিত এ ব্রীজ। সরেজমিন সন্ধ্যার পর ব্রীজে গেলে দেখা যায় মদ গাঁজা দোকানী পতিতা দালাল ও খদ্দেরদের হাক-ডাক। তাদের ভয়ে সাধারণ লোকজন এ ব্রীজ দিয়ে পার হতে ভয় পেয়ে থাকেন। অনেক সময় পথচারী সেজে দাঁড়িয়ে থাকা পতিতারা হেঁটে চলা মানুষদের ঝাপটে ধরে। শ্লীলতাহানী ও যৌনপীড়নের ভয় দেখিয়ে সহযোগী দালালদের দিয়ে হাতিয়ে নেয় টাকা কড়ি মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী। ফলে সিলেট নগরীর নবনির্মিত কাজিরবাজার ব্রীজ ক্রমশ: আতংক ও ভোগান্তির ব্রীজ নামে পরিচিতি লাভ শুরু করেছে। ভোক্তভোগীরা কাজিরবাজার সুরমা ব্রীজকে নিরাপদ করতে অবিলম্বে গাড়ি ও ভ্যানপার্ক এবং রকমফের অপরাধীমুক্ত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন। (খবর সংবাদদাতার)