ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ( ন্যাপ) ভাসানী সিলেট বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র ৩৯-তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ন্যাপ-ভাসানীর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোসতাক আহমদ ভাসানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ পিপল’স লীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবেদ আক্তার চৌধুরী, বাংলাদেশ বাউল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ফকির শাহ তোফাজ্জল হোসেন ভান্ডারী, এবিসি কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মোস্তাক মাহমুদ।
ন্যাপ-ভাসানী সিলেট বিভাগীয় শাখার আহ্বায়ক ডাঃ এম, জি কিব্রীয়ার সভাপতিত্বে ও কামাল আহমদের পরিচালনায় মওলানা ভাসনীর প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ করা হয়। আলোচনা ও স্মরণ সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন- মোঃ নজরুল আসলাম মাষ্টার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখের ন্যাপ-ভাসানীর প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমতিয়াজ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মকসুদ হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাক আহমদ বলেনÑ স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইয়ে মওলানা ভাসানীর জীবন কর্মের উপর পাঠ্য অংশ ছিল। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আজ কয়েক বছর ধরে দেখা যায় পাঠ্য বই-পুস্তকে মাওলানা ভাসনীর সম্পর্কে কোন ইতিহাস নেই। যে মাওলানা ভাসানী না হলে, বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতার আগমন ঘটত না, আর বঙ্গবন্ধুর আগমন না হলে আজকের এই দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘটত না। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় দেশ নেত্রী শেখ হাসিনা মাওলানা ভাসানীর আদর্শবান রাজনৈতিক শিষ্য বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হয়েও পাঠ্য পুস্তক থেকে কিভাবে মাওলানা ভাসানীর ইতিহাস বিলুপ্ত হয়ে যায়। মাওলানা ভাসানীর ইতিহাসকে বাদ দিলে আর কোন ইতিহাসই অবশিষ্ট থাকবে না। বিজ্ঞপ্তি