সদ্য অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন জাকিরের সমর্থকরা। সোমবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় রাস্তার দুদিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। শেষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন জাকিরের হস্তক্ষেপে মানুষ অবরোধ তুলে নেয়। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জাকির উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নানের রাজনৈতিক সেক্রেটারী হাসনাথের ছোট ভাই প্রভাষক নুর হোসেনের মাইক প্রতিক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন জাকিরের চশমা প্রতীকের মধ্যে। উপজেলা কন্ট্রোল রুমে ফলাফল ঘোষণাকালে অবৈধ প্রভাব বিস্তার ও ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে চলে যান মোশাররফ হোসেন জাকির। তিনি বলেন, মন্ত্রীর দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক সেক্রেটারী হাসনাত নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার সমর্থকদের প্রতিবাদ চলাকালে মোশাররফ হোসেন জাকির বলেন, জনতার ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান মহোদয়ের রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসনাত মন্ত্রীর দোহাই দিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমার ফলাফলকে পরিবর্তন করে তার ভাই নুর হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য করে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আমার চশমা প্রতিকের এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে ভোটের হিসেবের তালিকা দেয়া হয়নি। ঐসব তালিকায় ইচ্ছমত ভোট যোগ-বিয়োগ করে কন্ট্রোল রুমে ঘোষণা করা হয়। মাইক প্রতীকের প্রার্থী নুর হোসেন তার ভাই হাসনাত ও শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে কন্ট্রোল রুম দখল করে নেয়। বিভিন্ন কেন্দ্রের সাজানো ফলাফল ঘোষনা করলে আমার এজেন্ট প্রতিবাদ করলেও তা গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি এই অবৈধ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুন: নির্বাচনেরও দাবী জানান তিনি। (খবর সংবাদদাতার)