স্টাফ রিপোর্টার :
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার আমল গ্রহণ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ধার্য তারিখে কারাগারে থাকা ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করতে না পারায় আমল গ্রহণ করা হয়নি। ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার প্রথম চার্জশিটভুক্ত কিবরিয়া হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা আট আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ উপরোক্ত আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি একেএম আব্দুল কাইয়ূম, জয়নাল আবেদিন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদিন মমিন, তাজুল ইসলাম, সাহেদ আলী, সেলিম আহমেদ এবং আয়াত আলী। আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। তারা হত্যা মামলায়ও উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
হবিগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বডেভোকেট আকবর হোসেন জিতু জানান, বুধবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ থাকায় মঙ্গলবার আসামিদেরকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তাই নতুন করে আমল গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক মামলার চার্জশিটে ৩২ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছসহ ১৫ জন কারাগারে, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ৯ জন পলাতক ও আটজন জামিনে রয়েছেন। বিস্ফোরক মামলাটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত করেন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিলেটের এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল।
তিনি তদন্ত শেষে প্রথম চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামিসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন। হত্যা মামলাটিতেও উল্লেখিত ৩২ জনকেই আসামি করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলা নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। হামলায় আহত হন ৪৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।