জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ভরণ সাব রেজিষ্ট্রি জকিগঞ্জ অফিসে দলিল সম্পাদন করতে ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থায়ী সাব রেজিষ্ট্রার না থাকায় সপ্তাহে দুই দিন দলিল সম্পাদনা করা হয়। এতে বিপাকে রয়েছেন উপজেলার জনসাধারণ। ভরণ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে বছরে প্রায় ৫ হাজার দালিল সম্পদনা করা হলেও অতিরিক্ত দায়িত্বশীল সাব রেজিষ্ট্রার দিয়ে চলছে কার্যক্রম। জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ জুলাই ভরণ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মরত সাব রেজিষ্ট্রার একে এম রফিকুল ইসলাম অন্যত্র বদলী হয়ে গেলে জকিগঞ্জ ভরণ সাব রেজিষ্ট্রি অফিস সাব রেজিষ্ট্রারের পদ শুন্য হয়ে যায়। ২ আগষ্ট ফেঞ্চুগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিষ্ট্রারকে ভরণ সাব রেজিষ্ট্রারে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি এক সাথে জকিগঞ্জে ও ফেঞ্চুগঞ্জের দায়িত্বে থাকায় সপ্তাহে ২ দিন কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতেন। তিনি কিছুদিন জকিগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ২২ অক্টোবর ভরণ সাব রেজিষ্ট্রারে স্থায়ী সাব রেজিষ্ট্রার নিয়োগ না করে আবারো অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয় বিয়ানীবাজারের সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিষ্ট্রার মো. লোকমান হোসেনকে। তিনিও সপ্তাহে ২ দিন কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ায় ভূমি ক্রেতা বিক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। স্থায়ী সাব রেজিষ্ট্রার না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়। কমে গেছে দলিল সম্পাদন কার্যক্রম। এলাকাবাসী দাবী জানিয়ে বলেন, বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ভরণ সাব রেজিষ্ট্রি অফিস জকিগঞ্জে অন্য উপজেলার চাইতে বেশী দলিল সম্পাদন করা হলেও স্থায়ী সাব রেজিষ্ট্রারের পদ অতিরিক্ত কর্মকর্তা দিয়ে চলছে। এর ফলে জনসাধারণ যেমন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তেমনি সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জকিগঞ্জে পুরো সপ্তাহে দলিল সম্পাদন করতে জনসাধারণ ভরণ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে স্থায়ী সাব রেজিষ্ট্রার দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।