ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে শ্রমিকদের পক্ষে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলার গোয়ালা বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিকসহ ১৩১জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট প্রেরণ করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অকিল উদ্দিন আদালতে এ মামলার চার্জসিট প্রদান করেন। উক্ত মামলা সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ১৫জনকে চার্জশিটে অব্যাহতির প্রর্থানা করা হয়েছে। এদিকে মামলার আসামীরা থানা পুলিশের সামনে প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ১৭ই ডিসেম্বর উপজেলার ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের দুটি গ্র“পের মধ্যে নতুন শাখা স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষকালে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঐ দিন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একশ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮শ লোক’কে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার প্রায় ৪মাস পর গত ১৩ এপ্রিল ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অকিল উদ্দিন উপজেলার গোয়ালা বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক প্রধান আসামীসহ ১৩১জনকে অভিযুক্ত করে ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০৭/৩৩২/৩৫৩/৩০২/৪২৭/১১৪ ধারা মোতাবেক আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করেন। মামলা দায়েরের প্রথম দিকে সকল আসামী পালিয়ে বেড়ালেও কিছুদিন পর অর্ধশতাধিক আসামীরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অনান্য আসামীরা প্রকাশ্যে থানা পুলিশের সামনে চলাফেরা করলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে। ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুরছালিন আদালতে চার্জশিট প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আসামীদের গ্রেফতারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।