সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পানির পাইপ লাইন বসানোর জন্য খুঁড়াখুঁড়ির কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনসাধারণের রাস্তা চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া কোর্ট পয়েন্ট ও সুরমা পয়েন্টে ফুট ওভারব্রীজের জন্য শ্রমিকরা ট্রাফিক ছাউনীগুলোও খুঁড়াখুঁড়ি কাজও করে যাচ্ছে। ফলে রাস্তায় কাদা জমে জনসাধারণে চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
রাস্তা খুঁড়ে ফেলা ও ড্রেনের বর্জ্য রাস্তায় ফেলে রাখায় বৃষ্টির পানিতে নগরীর অধিকাংশ সড়কে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় পথচারী থেকে শুর করে স্থানীয়রা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ভুক্তভোগী কয়েকজন নগরীতে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই উন্নয়নমূলক কাজ শেষ না-হওয়ার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অবশ্যই সিলেট সিটি কপোরেশন কর্মকর্তা দাবী করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এসব খুঁড়াখুঁড়ি শেষ হবে। তখন আর নগরীরবাসী কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
বন্দরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি-বাদলের মৌসুম আসার আগ-মুহূর্তেই রাস্তা খুঁড়াখুঁড়ি আর উন্নয়নমূলক কাজের কথা সংশ্লিষ্টদের মনে পড়ে। অথচ সারা বছর তাদের কোনো পাত্তাই থাকে না। আর এর দুর্ভোগ বইতে হয় সাধারণ মানুষদের।’ একই এলাকার আরও দুই জন ব্যবসায়ী জানান, সড়কের এক পাশে স্তুপাকৃত কাদা থাকায় দুগর্ন্ধের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে। এতে যানজট হচ্ছে। এছাড়া পথচারীদের কাপড়চোপড়ও বিনষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বন্দরবাজার, সিটি পয়েন্ট ও মহাজনপট্টি, দক্ষিণ সুরমা কদমতলী ও তালতলা এলাকায় কয়েক সপ্তাহ আগে পানির পাইপ বসানোর জন্য খুঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সড়কের অনেকটা অংশ খোঁড়ায় বৃষ্টি হলেই এসব এলাকা জল কাদায় ছেয়ে যায়। নিরুপায় জনসাধারণ এর মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের সূত্র জানায়, ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প¬্যান্ট’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত কয়েক মাস ধরেই সিটি করপোরেশন পানির পাইপ বসানোর কাজ করে আসছে। তবে নগরীর মির্জাজাঙ্গাল, রামেরদীঘিরপার ও তালতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এসব এলাকার মূল সড়কে প্রায় দুই মাস আগে পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলেও সড়কটি পুনরায় সংস্কার না-করায় বৃষ্টিতে এখন সড়কটি কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বৃষ্টি হওয়ায় খুঁড়াখুঁড়ির স্থানগুলোতে জলকাদায় বয়ে গেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে এলে দ্রুতগতিতে পাইপ বসানোর কাজ শেষ করে সড়কগুলো সংস্কার করে ফেলা হবে।