বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অন্ত:সত্ত্বা প্রেমিকার অনশন

66

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটে বিয়ের দাবিতে গত চারদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে অনশন করছেন প্রেমিকা। প্রেমিকা হাফছা বেগমের দাবী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে লেঙ্গুরা ইউনিয়নের দারিখাই গ্রামের আব্দুছ সামাদের ছেলে প্রেমিক ফয়জুর রহমান তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বর্তমানে তিনি তিন মাসের অন্ত:সত্ত্ব। প্রেমিকা অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে প্রেমিক ফয়জুর রহমান বিভিন্নভাবে কাল ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে বিয়ে করতে অনাগ্রহ দেখান। দারিখাই গ্রামের বাসিন্দা কলিম উল্লাহ, হাবিব উল্লাহ, সিরাজ উদ্দিন, রইছ আলিসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ কালে জানা যায়, গ্রামের আব্দুছ সামাদের ছেলে ফয়জুর রহমান তার আপন চাচা ইরফান আলীর মেয়ে হাফছা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছেন এবং ফয়জুর হাফসার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। প্রায় আড়াই মাস আগে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে ফয়জুর রহমান হাফছা বেগমকে বিয়ে করবেন বলে সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের পর ফয়জুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে দুই মাস সময় চাইলে পঞ্চায়েত সেটি গ্রহণ করে। কিন্তু দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বিয়ের কোন ব্যবস্থা নেননি ফয়জুরের পরিবার। আর এরই কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রেমিক ফয়জুরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন প্রেমিকা হাফছা বেগম।
এ বিষয়ে প্রেমিকা হাফসা বেগম বলেন আমাদের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ফয়জুর রহমান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বর্তমানে আমি প্রায় তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা। কিন্তু তারা গ্রাম পঞ্চায়েতকে কথা দিয়েও আমাকে স্ত্রী ও আমার সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দিতে টালবাহানা করে যাচ্ছে। কোন প্রকার উপায়ন্তর না দেখে আমি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান করে অনশন করছি।  বিয়ে না করা পর্যন্ত আমার এ অনশন আমি চালিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে প্রেমিক ফয়জুর রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ফয়জুরের মা ও তার বড় ভাইয়ের সাথে আলাপ করলে তারা এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ হাই বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনার কথা আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।