দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
ভাটি অঞ্চল দিরাইয়ে বৈশাখী ধান কাটা শুরু হলেও বোয়ালিয়া বাঁধ ধসে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশায় রয়েছেন, এক দিকে চলছে সোনালী ফসল বৈশাখী ধান কাটার মহোৎসব অপর দিকে বোয়ালিয়া বাঁধ সহ অসম্পূর্ণ বাঁধ গুলোর মেরামত কাজ দ্রুত শেষ করতে পিআইসি ও পাউবো কর্তৃপক্ষেও সাথে বাঁধ মেরামতের কাজে কৃষকের দৌড় ঝাঁপ। বরাম হাওর পারের কৃষক কবির মিয়া বলেন, নদীর পানির ধাক্কায় বোয়ালিয়া বাঁধ ধসে যাওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি, ওই বাঁেধর উপর নির্ভর করে উদগল বরাম ও গিলোটিয়া হাওরের ৫০ হাজার কুষকের ১৯ হাজার হেক্টর বোরো ফষল, এখন আমরা থান কাটব না বাঁধে মাটি কাটব, এ নিয়ে বড় চিন্তায় আছি। চাপতি হাওর পারের কৃষক জাকারিয়া হোসেন বলেন, গ্রামের মেম্বার ও সরকারী কর্মকর্তারা হাওরের ফসল রক্ষার নামে যে কটা বাঁধ নির্মাণ করেছেন তাও সঠিক ভাবে কাজ হয়নি। সামন্য বৃষ্টিতে বাঁধে ধসের ঘটনায় আমরা চিন্তিত হয়েছি। অধিকাংশ বাঁধেই নিম্ন মানের কাজ হয়েছে, নদীতে যে হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে কখন য়ে কি হয় তা আল্লাহ-ই জানেন। এখন আমরা ধান কাটবো না বাঁধ মেরামত করবো তা নিয়ে পরেছি বিপাকে। বরাম হাওর পারের কৃষক সমিরণ দাস বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধ গুলোর কাজ ফেব্র“য়ারির ২৮ তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি কয়েকটি বাঁধের কাজ। আমাদের হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে আগাম বন্যায় হাওরের ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি আমরা। চাপতি হাওর পাড়ের কৃষক কামরুল হক বলেন, প্রতি বছর ই পিআইসি ও পাউবো কর্তৃপক্ষ সরকারের লাখ লাখ টাকা হাওর রক্ষা বাঁধের নামে হরিলুট করেন এবার ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সরকারের টাকা তারা লুট করবেন আর সর্বনাশ হবে আমাদের, আমরা প্রতিবছরই আন্দোলন করি কোনো ফল হয়নি। দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সময় পেরিয়ে দেড় মাস চলে গেলেও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি এটা খুবই দুঃখজসক, প্রতি বছরই পিআইসি ও পাউবো কর্তৃপক্ষেও রশি টানা টানিতে বাঁধের কাজ সময় মত শেষ হয়নি, কাজের মান নিয়ে ও কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সামান্য বৃষ্টিতে বোয়ালিয়া বাঁধের যে অবস্থা হয়েছে যদি নদীতে পানি বাড়ে তা হলে আমাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, দিরাইয়ে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হবে বলে আমি আশাবাদী।