ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও ও পৌরশহরের বাশখলা গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাশখলা গ্রামের নিটল-নিলয় পেপার মিল রাস্তা সংলগ্ন সেচকৃত একটি খালে রবিবার মুক্তিরগাঁও গ্রামের রইছ মিয়ার পুত্র মনাফ আলী মাছ ধরতে গেলে তাকে মারপিট করে বাশখালা গ্রামের সামছু মিয়া পক্ষের লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিরগাঁও গ্রামের মনাফ আলী ও তার লোকজন গতকাল সোমবার দুপুরে ছাতক ট্রাফিক পয়েন্টে সামছু মিয়াকে মারধোর করে। এ ঘটনায় বাশখলা গ্রামের ৬-৭জন যুবক মোটর সাইকেল যোগে শহরে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে প্রতিপক্ষের দোকানের সামনে এসে ডাকাডাকি করে। মুহূর্তের মধ্যে প্রতিপক্ষরাও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লে শহর জোরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। শহরে আশা লোকজন দিকবিদেক ছুটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ শহরের স্কুল মার্কেটের সামনে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষ শহর এলাকা ছেড়ে পেপারমিল সংলগ্ন রাস্তায় মুক্তিরগাঁও এবং রেল সড়কে বাশখালা গ্রামবাসী অবস্থান নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায়-দফায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। গুরুতর আহত বাশখালা গ্রামের কবির (৪৫), ধন মিয়া (৪৮), মানিক মিয়া (২৩), তারিজ আলী (৫০), মুক্তিরগাঁও গ্রামের জাকির (২০) ও মানিক (২২)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সামছু মিয়া (৪৬), মনাফ আলী আছাবর আলী (৬০), জুয়েল (২০), সন্দর মিয়া (৩৫), আব্দুস ছালাম (২২), আলম (২৫), ছাবুল মিয়া (৩৫), সুহেল আহমদ (১৯), নজরুল ইসলাম (২০) দুলন মিয়া(৩০), মিলন(১৯), আজাদ মিয়া(৬৬), আব্দুল লতিফ(২২), আব্দুর রাজ্জাক(২০), তারেক(২২), ইজাজুল হক রনি(২৫), ট্রাফিক পুলিশ আনায়ারুল ইসলামসহ আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। খরব পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুজিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাছুম বিল¬াহ ঘটনাস্থল পরিদশর্ন করেছেন। ছাতক থানার ওসি হারুনÑঅর রশীদ চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।