স্পোর্টস ডেস্ক :
২০১৬ সালের পর থেকে অন্য দুই ফরম্যাটের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের কিছুটা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মনে করছেন, খুব শিগগিরই টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের হারানো শীর্ষস্থান ফিরে পাবে পাকিস্তান।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের নতুনভাবে প্রতিফলিত করেছে পাকিস্তান। তার প্রভাব দেখা গেছে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও। ২০১৬ সালের পর টানা ২৭ মাস টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিল পাকিস্তান। যেখানে ৩৩টি ম্যাচ খেলে ২৯টি ম্যাচে জয় লাভ করে। জয়ের শতকরা হার ৮৭.৮৭। তবে ২০২০ এর র্যাংকিংয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে বাবর আজমরা।
নিজেদের চতুর্থ স্থান নিয়ে খুব একটা বেশি চিন্তিত নন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে খেলোয়াড়দের সেরা কম্বিনেশন তৈরি করেছে পাকিস্তান।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি এবং দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের র্যাংকিং হ্রাস পেয়েছে। যা ঘটেছিল তা হলো আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি এবং বেশ কয়েকটি খেলোয়াড় চেষ্টা করেছিলাম। এখন আমরা আমাদের কম্বিনেশন তৈরি করেছি, যার মধ্যে তরুণ ও অভিজ্ঞদের সমন্বয় রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ভাল করবো এবং আমাদের র্যাংকিংয়ের উন্নতি করবো। যদি বিশ্বকাপ সময়সূচি অনুসারে অনুষ্ঠিত হয় তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দল এতেও ভাল করবে।’
তিনি বলেন, একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে আমি আশা করি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি সূচি অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসাবে আমি সত্যিই চাই যে, বিশ্বকাপটি যেন দেরিতে শুরু না হয়। কারণ অধিনায়ক হিসাবে এটি আমার প্রথম বিশ্বকাপ হবে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, সরফরাজ আহমেদকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমকে অধিনায়ক করে পিসিবি। অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে দুটি জিতেছেন আর দুটি হেরেছেন।