গরমের শুরুতেই গোলাপগঞ্জ বিদ্যুৎহীন

36

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গরমের শুরুতেই গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুতহীন। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও উপজেলার জনসাধারণ। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ছোট বড় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই হরতাল অবরোধে ব্যবসা বাণিজ্য কম তার পর আবার লোডশেডিং। গোলাপগঞ্জ পৌর সদরের আহমদ খান রোডের এম.বি টেলিকমের মালিক সাহাদাত হোসেন (মুমিন) বলেন, বাজারে প্রায় শতাধিক টেলিকমের দোকান রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত  বিদ্যুৎ না থাকায় এগুলো একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। অনেক টেলিকম ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের বেলায় দোকান বন্ধ রাখতেছেন। গোলাপগঞ্জ ও পৌর সদরে রয়েছে ১৫/১৬টি ব্যাংক, ছমিল, রাইছমিল, বিস্কুট ফ্যাক্টরীসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রাহকরা ব্যাং থেকে টাকা উত্তোলসহ এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। গতকাল সকাল ১১টার দিকে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন আবু তাহের (নাহীন) নামে আহমদ খান রোডের এক ব্যবসায়ী। সোনালী ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে একি যন্ত্রণায় পড়েন টিকরবাড়ী গ্রামের মামমুদা বেগম। অপরদিকে উপজেলার অনেকে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা বাড়ি অন্ধকার হয়ে পড়ে। এতে পানি সংকট, রান্নাবান্নাসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। উপজেলার ১নং বাঘা ইউপির তুড়–গাও গ্রামের আব্দুল হাকিম (পারবেজ) আহমদ বলেন, টানা দেড়মাস থেকে বিদ্যুতের যন্ত্রনায় ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। ঢাকাদক্ষিণ ইউপির দতরাইল গ্রামের সেলিম আহমদের স্ত্রী ফারজানা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া করতে অনেক অসবিধা হচেছ। কোন ঘোষনা ছাড়াই কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ বিহ্নআক্র রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সংবাদকর্মীরাও পড়েছেন বিপাকে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মস্তফা কামালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের টাওয়ারের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে।